বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সমতা দাস (Samata Das)। খুব অল্প বয়সেই তিনি এই জগতে এসেছেন। যখন তাঁর বয়স মাত্র ৭ বছর, তখন তিনি ক্লাস টু তে পড়তেন। এই অল্প বয়সেই তাঁর অভিনয় জগতের হাতে খড়ি হয়। তাঁর প্রথম অভিনয় ‘জন্মভূমি’ (Janmabhumi)।
এরপর একে একে অনেক ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ‘এক আকাশের নিচে’ (Ek Akasher Niche) ধারাবাহিক তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। সেই থেকেই সে সকলের কাছে টুসকি (Tuski) নামেই জনপ্রিয় ছিলেন, তাঁকে কেউ চিনত না সমতা বলে, সবাই চিনত টুসকি বলেই। এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর তাঁকে আর পর্দায় দেখা যায়নি। এর পিছনে রয়েছে অনেক কারণ। সেই সময় তাঁর ছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই তিনি বিয়ে করে নেন। তাই তখন এই ইন্ডাস্ট্রি জীবনে ফোকাস করতে অতটা পারেননি।
তারপরেই অনেক বছর পর আবার পর্দায় ফেরেন ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ ধারাবাহিকে। একেবারে অন্য লুকে। সেই ছোটো টুসকি পর্দায় হয়ে যায় শাশুড়ি। রাসমণিতে তাঁকে শাশুড়ির ভূমিকায় দেখা যায়। এরপর রাসমণি সিরিয়াল শেষ হতেই, তাঁকে দেখা যায় জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৌরী এলো’তে গৌরীর মায়ের চরিত্রে। সম্প্রতি আবার তাঁকে দেখা যাচ্ছে একটু অন্যভাবে ‘বোধিসত্ত্বের বোধ বুদ্ধি’ (Bodhiswatter Bodh Budhi) তে। এই সিরিয়ালে বোধির কাকিমার ভুমিকায় অভিনয় করছেন। এই কাকিমার চরিত্র একটু নেগেটিভ।
অনেক দিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিরতি ছিলেন বলেই কি এখন মা-কাকিমার চরিত্রে তাঁকে দেখা যায়? এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর এতে আক্ষেপ নেই। তাঁর কাছে চরিত্রের বাছ বিচার নেই, সে যে কোনো চরিত্র পেলেই খুব খুশি। তাঁর মতে নায়িকা হওয়ার একটা উপযুক্ত বয়স থাকে। নায়িকা হতে গেলে দরকার ১৫-২২ বছর। আর এই সময়টাই তিনি নষ্ট করে ফেলেছেন। তাই তার নায়িকা হওয়া হয়ে ওঠেনি। এজন্য তিনি নিজেকেই দোষারোপ করেন।
আসলে তাঁর বাবা মা খুব রক্ষণশীল। সে সময় যে সমতা প্রেম করছেন এটা তারা মানতে পারেননি। তাই প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে হয়েছে তাকে। এর জন্য তাকে কটাক্ষ শুনতে হয়। অনেকেই তাকে বলেছেন তিনি আর ফিরতে পারবেন না এই জগতে। কারণ তার বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু তার অভিনয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তাকে ফিরিয়ে এনেছে এই জগতে। বিয়ের পর আবার এসেছেন টেলিভিশনে। তাঁর বক্তব্য, অভিনয়ের সাথে বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই, অভিনয়ের সাথে রয়েছে ভালোবাসার সম্পর্ক।