মাইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Nobel) যার অপর নাম বিতর্ক। যার বিতর্কে গোটা বিশ্ব ছেয়ে গিয়েছিল। এপার বাংলা থেকে শুরু করে ওপার বাংলা সবাই নোবেলকে চেনে। একটাই কারণ তার বিতর্কিত মন্তব্য। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) থেকে শুরু করে কবি নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam) কাউকেই ছাড়েন না। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে ফের শিরোনামে ।
শুক্রবার নোবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা নয় যে যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! যে রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যায়নি। তাদের নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই তাদের জন্য অনেক বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান নেই বললেই চলে, তাই তার গান বাংলাদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।”
বাংলাদেশের বিখ্যাত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বিকৃত’ , ‘বেসুরো’ এবং ‘প্যারডি’ ভাবে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে তাঁকে শাস্তি পেতে হয়েছিল। বাংলাদেশ অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ সংস্থা তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পুলিশ তাকে সাবধান করে এরকম গান আর যাতে সে না গায়।
এই প্রসঙ্গে হিরো আলম জানিয়েছেন, “আমি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও লালন সংগীত গাইব না, কিন্তু নিজের লেখা গান গাইব। তাই আমি একটি গান প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে আমাকে ফাঁসির কয়েদির রূপে দেখা যাবে। “
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনও সরব হয়েছেন, তিনি বলেন , ‘পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গান যেমন ইচ্ছে গাইলে কোনো আপত্তি থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের গান যেমন ইচ্ছা গাইলেই আপত্তি। বাংলাদেশের এমন রবীন্দ্রপ্রেমে বেশ খুশি। পশ্চিমবঙ্গ সারাবছর রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যেতে থাকলেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ‘
এইসব মন্তব্যের পর এবার কিছুটা উস্কে দিলেন নোবেল। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা সমর্থন জানালেন। এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নোবেলের উপর ক্ষুব্ধ নেটজনতা। তাদের মতে নোবেলের গান এখন আর কেউ পছন্দ করছেন না বলেই তার হিংসা হচ্ছে।