বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী দোলন রায় (Dolon Roy)। নয়ের দশকে শুরু হয়েছিল তার অভিনয় যাত্রা। ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০ বছর পার করে দিলেন অভিনেত্রী। ‘সজনী গো সজনী’ ছবি দিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা। সবসময় রয়েছে ঠোঁটের কোণে হাসি। মায়াময় মুখের অধিকারী। ছোটো পর্দা থেকে বড় পর্দা সবেতেই চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। একটা সময় ছিল যখন তিনি বড় পর্দা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। বিখ্যাত বিখ্যাত সিনেমায় তিনি কাজ করেছেন। কিন্তু এখন আর সেরকম ভাবে বড় পর্দায় দেখা যায় না।
অভিনেত্রী নানা রকম চরিত্রে কাজ করেছেন। কিন্তু তার পছন্দের চরিত্র হল কৌতুকধর্মী চরিত্র। কিন্তু সেই চরিত্রের সুযোগ তিনি পান না। নেগেটিভ চরিত্রেও তিনি সফল হয়েছিলেন। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মা’ -তে তিনি খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও নেগেটিভ চরিত্রের সুযোগ আসে না, পজিটিভ চরিত্রের সুযোগ টাই আসে। অভিনেত্রীর এ নিয়ে নিজের প্রতি আক্ষেপ। নিজের চেহারার জন্যই সুযোগ পান না বলে তিনি মনে করেন। অপেক্ষায় আছেন কমেডি চরিত্রের।
তবে তাঁর মতে, ‘এখনকার দিনে বাংলা সিরিয়াল গুলোতেও কমেডির স্থান নেই। শুরু হয় মজা দিয়ে, তারপর সেই এক কাহিনী। কান্না কাটি,একটা বউ দুটো বর এই সব পরকীয়া ছাড়া আর কিছু দেখি না। মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত লাগে এইসব দেখে’। বেশিরভাগ সিনেমাতে লিড চরিত্রে তাঁকে দেখা যায়নি। কেন তিনি নায়িকা হতে পারেননি?
আরও পড়ুনঃ নতুন সিরিয়ালকে জায়গা দিতে বন্ধ হচ্ছে ‘খেলাঘর’! সুস্মিতার অনুরাগীদের জন্য কি তবে খুশির খবর
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘যে সময়টা আমার কেরিয়ারের শীর্ষে তখন আমি টলিউড ছেড়ে যাত্রা করতে চলে যাই। যাত্রা করে ১০ বছর পর ফিরে দেখি নায়িকা চরিত্রের জন্য আর আমি উপযুক্ত নয়। তাই তারপর থেকেই মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসতে থাকে। তবে সব চরিত্রই আমার ভালো লাগে। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ আছেন, পেট চালাতে যা পায় তাতেই অভিনয় করি’।
বর্তমানে তিনি কাজ করছেন কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘টুম্পা অটোওয়ালি’ তে মিষ্টি মায়ের চরিত্রে। এই ধারাবাহিকটি তন্দ্রা সাঁধুখার জীবন কাহিনীর উপর নির্মিত হয়েছে। যে রবীন্দ্র সরোবর থেকে তারাতলা রুটে অটো চালান। বরাবরই অভিনেত্রী দোলন রায়ের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। তার অভিনয় দক্ষতা অনবদ্য। দর্শকের মন জয় করতে তার তুলনা হয়না।