জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই (Mithai)। এই ধারাবাহিকে আছে একটা হাসি-খুশি মিষ্টি পরিবার। সবসময় মজা আনন্দ লেগেই থাকে এখানে। কারণ মোদক বাড়িতে যেসব লোকগুলো আছে, সবই মজার। তারা হাসি খুশি থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু এই মিষ্টি পরিবারে এখন নেমে এল দূর্যোগ। অশান্তির কালো অন্ধকার। এক নিমেষে উধাও হয়ে গেল আনন্দের আবহ।
মোদক পরিবারকে শেষ করতে চেয়েছিল ওমি আগরওয়াল। তার ফলস্বরূপ ওমিকে মারা যেতে হল। ওমির মৃত্যুর বদলা নিতে আসে ওমির দাদা আদিত্য আগরওয়াল। সে ষড়যন্ত্র করে এলাকার কাউন্সিলর প্রমীলা লাহার সাথে। প্রথমে মোদক বাড়িতে ষড়যন্ত্র করে প্রোমোটার পাঠানো হয়। সিদ্ধেশ্বর বাবুকে একটা ফ্ল্যাট ও টাকার লোভ দেখানো হয়। কিন্তু তাতে রাজি হননা সিদ্ধেশ্বর বাবু।
এরপর মোদক পরিবারের মিষ্টির দোকানে গুন্ডা পাঠানো হয়, সেই গুণ্ডাদের জয় করে ফেলেন মিঠাই। কিন্তু এই বলে কাউন্সিলর প্রমীলা লাহা চুপ করে থাকার মানুষ নন। এবার সে অন্য একটি উপায় বার করল। তার লোকজন মনোহরাতে সোনার বার লুকিয়ে রাখে। আর তারপরেই মোদক পরিবারের উপর অভিযোগ এনে পুলিশে খবর দেয় কাউন্সিলর।
পুলিশ এবার এসে সিল করে দিয়ে গেল মনোহরাকে। ফলে সবাইকে মনোহরা ছাড়তে হবে। আর পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেল সকলের প্রিয় দাদাইকে। এই দাদাইকে ধরে নিয়ে যাওয়াতে অনুরাগীরা বেশ অখুশিই হয়েছেন। অনুরাগীর দাবি, সবসময় কেন মোদক পরিবারের সদস্যকেই জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রথমে মিঠাই, তারপরে সিড আর এখন দাদাই। রাজীব-নন্দাকে তো জেলে নিয়ে যেতে পারে, সবসময় মনোহরাতে পড়ে থাকে ওরা।
তবে অপর আর এক অনুরাগী মিঠাই এর এই ট্র্যাক কে খুব পছন্দ করেছেন। তাঁর দাবি, লেখিকা বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন। কারণ এখন পুরানো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু যখনই সেই বাড়ির সদস্যরা রাজি হচ্ছেন না। তখনই অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যার উদাহরণ দেখা গেল মোদক পরিবারে।
প্রসঙ্গত, বিগত ৫৪ সপ্তাহ ধরে টিআরপি টপার হওয়ার পর প্রথম স্থান ধরে রাখার লড়াইটা মিঠাইয়ের কাছে একটু কঠিন হয়ে গেছে। দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক মিঠাইকে ঘিরে। তাই ধারাবাহিকে নিত্যনতুন চমক দেখা যাচ্ছে। একের পর এক নতুন চমক এনে দর্শককে আকর্ষিত করার প্রচেষ্টা করছেন কলাকুশলীরা। অনেকে এইগুলো ভালো ভাবে নিচ্ছেন আবার অনেকেই বেশ অন্যরকম মন্তব্যও করছেন।