ধারাবাহিক গুলো চলে টিআরপির উপর ভিত্তি করে। আর তাই টিআরপি বাড়াতে ধারাবাহিক গুলোতে আনা হয় নিত্যনতুন চমক। আর যার ফলে হিতের বিপরীত হয়। ধারাবাহিকটাই কটাক্ষের মুখে পড়ে। ধারাবাহিকের কাহিনী নিয়ে হাসাহাসি করে। তেমনি একটি ধারাবাহিক আবারও রহস্যের মুখে পড়ল। ধারাবাহিকের কাহিনী দেখে দর্শকরা বলছেন গল্পের গোরু গাছে উঠেছে।
স্টার জলসার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘সাহেবের চিঠি’ (Saheber Chithi)। জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাতে পরিপূর্ণ এই ধারাবাহিকের কাহিনী দর্শকদের বেশ ভালোই লাগে। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র সাহেবের ভূমিকায় অভিনয় করছেন মোহর খ্যাত অভিনেতা প্রতীক সেন। আর তাঁর বিপরীতে চিঠির চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘সাঁঝের বাতি’ খ্যাত অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। প্রতীক আর দেবচন্দ্রিমার জুটি দর্শকদের বেশ পছন্দের।
ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী, চিঠি একজন পিওন। যে লোকের বাড়ি বাড়ি চিঠি বিলি করে। আর সাহেব যে একজন মস্ত বড় সেলেব্রিটি। তবে তাঁর পা অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ায় সে বাড়িতেই বন্দি থাকে। অনুরাগীদের সামনে আসেননা। এমনকি তাঁর এই খবর যেন অনুরাগীরা কেউ না জানতে পারে, তার জন্য সে অন্ধকারে ঘরে বন্দী থাকত।
কিন্তু তাঁকে অন্ধকার থেকে বাইরে নিয়ে এসেছেন চিঠি। বর্তমানে দুজনে এখন বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন। আর বিয়ের পরেই ট্রোলড এর মুখে পড়েছে এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিক যখন শুরু হয়, তখন ধারাবাহিকে চিঠির লুক ছিল অন্য, মানে বিয়ের আগে অন্য লুকে চিঠি আবর্তিত হয়েছিল। পরনে ছিল সালোয়ার, মাথায় বিনুনি, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। কিন্তু বিয়ের পরে লুক চেঞ্জ।
সম্প্রতি একটি প্রোমো তে দেখা যাচ্ছে, একজন প্রফেশনাল গায়িকার মত স্টেজে উঠে গান করছেন। তাঁর লুক দেখে সবাই অবাক চোখে নেই মোটা ফ্রেমের চশমা। একজন লিখেছেন, ‘ডাকপিয়ন থেকে শিল্পী, আর কত কি দেখব’। অনেকে বলছেন, বিয়ের পরেই চিঠি কে আর পিওনের চাকরি করতে দেখা গেলনা, চশমাও পড়তে দেখা গেলনা।