স্টার জলসার জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona)। এই ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই সকল দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে। এই ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ১৯ শে জুলাই। ধারাবাহিকের লালন-ফুলঝুড়ির দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প, দর্শকদের বেশ ভালোই লাগে। তাইতো দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি মন দিয়ে দেখেন, লালন-ফুলঝুড়ির হাসিতে তারাও হাসে, আবার কান্নাতে তারাও কাঁদে।
লালন আর ফুলঝুড়ি সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়ে। ফুলঝুড়ি বস্তির মেয়ে, সে স্বপ্ন দেখে গুছিয়ে সংসার করার, আর লালন স্বপ্ন দেখে বড় গায়ক হওয়ার। দুজনেরই স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা সবই ক্ষুদ্র। অর্থাভাবের জন্য লালন গাঙ্গুলী বাড়ির ট্যাক্সি ড্রাইভার, আর ফুলঝুড়ি গাঙ্গুলী বাড়ির কেয়ার টেকার। এইভাবেই দুজনের আলাপ হয়, একে অপরকে যে ভালোবাসে তা আর বলতে পারেনা কেউই। কিন্তু এখন অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেছে।
সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে বিয়ে হয়েছে লালন ফুলঝুড়ির। কিন্তু বিয়ে হলে কি হবে, ফুলঝুড়ির ভাগ্যটায় খারাপ, সুখে সংসার করতে পারলনা ফুলঝুড়ি। সম্প্রতি তারা বিয়ের পর হানিমুনে গিয়েছিল। সেখানে সমুদ্রে তলিয়ে যায়, লালন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর লালনকে পাওয়া যায়। কিন্তু পাওয়া গেলে কি হবে, লালন এখন কোমায়।
একটা মানুষ একা একা তলিয়ে যেতে পারে? এর পিছনে নিশ্চয়ই রয়েছে কারোর ষড়যন্ত্র। হ্যাঁ সত্যিই রয়েছে ষড়যন্ত্র। চড়ুইয়ের মা চান্দ্রেয়ীর ষড়যন্ত্রের শিকার লালন-ফুলঝুড়ি। চান্দ্রেয়ীর বান্ধবী শ্রীরূপা এই কাজটি করে। আর এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে যায় ফুলঝুড়ি।
চান্দ্রেয়ী তাঁর বান্ধবী শ্রীরূপার সাথে ফোনে কথা বলছিল, আর সেটা আড়াল থেকে শুনে ফেলে ফুলঝুড়ি। তারপরেই সে কাঁদতে কাঁদতে সকলের সামনে আসে, এসে বলে, ‘আমার অনেক বড় ক্ষতি করে দিয়েছে মেজ মামি’। তারপর সে জানায়, ‘লালনের অ্যাক্সিডেন্ট হয়নি, লালনকে খুন করা হয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ ধূলোকণায় নতুন চমক! ফুলঝুড়িকে ফেলে রেখে কার সাথে সমুদ্রে লালন? রইল আসল সত্যি
সকলের সামনে ফুলঝুড়ি জানিয়ে দেয়, এই খুনটা চান্দ্রেয়ীই করেছে। বলা যেতেই পারে, এবার সকলের সামনে মুখোশ খুলে যাবে চান্দ্রেয়ীর। এবার দেখার পালা, চান্দ্রেয়ী কি সবটা স্বীকার করে, নাকি এড়িয়ে যায়। গল্পের নতুন চরিত্রের আগমন ঘটেছে। ধূলোকনা এবার তার জায়গা আবার ফিরে পেতে উঠে পরে লেগেছে।