জি বাংলার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক লক্ষী কাকিমা সুপারস্টার। ধারাবাহিকটিতে চোখে পড়ে মধ্যবিত্ত জীবনের মধ্যে কত যে ওঠাপড়া রয়েছে তার কাহিনী। মধ্যবিত্ত জীবনের দুঃখ-দূর্দশা, অভাব-অনটনের মধ্যে কীভাবে যে একজন নারী নিজেকে প্রতিষ্ঠিত দেখবার চেষ্টা করে এটাই এই ধারাবাহিকে লক্ষণীয়। এই ধারাবাহিক একটাই বার্তা দেয়, পরিবারের উপার্জনের ভার বাড়ির কর্তা গিন্নি যদি সমান ভাগে ভাগ করে নেয়, তাহলে পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
তাই তো এই ধারাবাহিক প্রতিটি বাড়ির অনুপ্রেরণা। প্রতিটি বাড়ির গৃহবধূ লক্ষী কাকিমার মত স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু সবসময় তো সফলতা আসে না। অনেককে অনুপ্রেরণা জোগায় এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকটি শুরুর থেকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা বাজলেই সকলে বসে পড়েন টেলিভিশনের সামনে। সম্প্রতি লক্ষী কাকিমার শিয়রে বিপদের ছায়া। হংসিনীর বাবা সোমশংকর অর্থাৎ অভিনেতা ভরত কলের (Bharat Kaul) ষড়যন্ত্রের শিকার এখন লক্ষী কাকিমা।
তবে এই ধারাবাহিক ভালো লাগার আর একটা কারণ হচ্ছে অপা। অর্থাৎ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য আছেন বলেই যেন এই ধারাবাহিকটি এত জনপ্রিয়। এই ধারাবাহিকের প্রাণ অপরাজিতা আঢ্য। আসলে সেই তো লক্ষী কাকিমা। আর তার অনবদ্য অভিনয় সকলকে প্রাণ খোলা আনন্দ দেয়। তার অভিনয় দর্শককে মুহূর্তে হাসাতে পারে আবার পরমুহূর্তেই কাঁদাতে পারে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের নতুন এপিসোডে দেখা গেছে। লক্ষী কাকিমার অনেকদিনের স্বপ্ন এবার পূরণ হতে যাচ্ছিল। তাঁর লক্ষী ভান্ডারের আটটি দোকান একসাথে ওপেন হচ্ছে। এই ঘটনায় খুশির হাওয়া লক্ষী কাকিমার পরিবারে। কিন্তু সুখ যে দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাই আগমন ঘটল নতুন বিপত্তির।
View this post on Instagram
একটি দোকান উদ্বোধন করতে উপস্থিত হন লক্ষী কাকিমা। আর চারিদিকে ছেয়ে গেছে কালো ধোঁয়ায়। এরপর তিনি জানতে পারেন শুধু এই দোকান নয়, বাদ বাকি দোকানগুলোতেও ঘটেছে একই কান্ড। আসলে সেখানে হংসিনীর বাবা সোমশংকর বাবু বোম ব্লাস্ট করিয়েছেন। চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় চারিদিকে।
এবার এটাই দেখার পালা কিভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করেন লক্ষী কাকিমা। কারণ লক্ষী কাকিমার জীবনে বা পরিবারে যাই সমস্যা আসুক না কেন, তিনি একাই সামলিয়েছেন সমস্ত কিছু। তাই আশা করা যাচ্ছে, এই সমস্যারও সমাধান তিনি নিজেই করবেন।