নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে , আমরা ভুলে যায় আমাদের অতীত কে। কারণ যাতে নতুন বছর যেন নতুনই থাকে। পুরানোর রেশ না থাকে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই এমন অনেক কিছু ঘটে, যা নিয়ে আফসোসের শেষ থাকে না। আর এই নতুন বছরেই ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে কালো ছায়া। ৩ জানুয়ারি মৃত্যু হয় টালিগঞ্জ এর বাবুর। অর্থাৎ বিখ্যাত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর একমাত্র পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর (Sandip Chowdhury)। এই মৃত্যুতে শোকাহত সকলে।
মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪। এত তাড়াতাড়ি যে তিনি ছেড়ে চলে যাবেন এটা কেউই ভাবতে পারেননি। গত ১৭ ডিসেম্বর শুটিং ফ্লোরে অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেখান থেকেই সূত্রপাত। কিডনির সমস্যা এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় এই অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন শেষমেশ ৩ ই জানুয়ারি মৃত্যু হয়। এই খবরে ভেঙে পড়েছেন ‘গুড্ডি’ খ্যত অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu)।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি থেকে একটা আদর্শবান মানুষ চলে গেল, এরকম আদর্শবান মানুষ খুবই কম দেখেছি। আজকে আমি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে এই মানুষটার অবদান রয়েছে। আমার জীবনে যখন খুব খারাপ সময় ফ্যামিলি চালিয়ে সবকিছু করে হাতে খুব কম টাকা থাকত একসময়।
সেই সময় দাঁড়িয়ে এই মানুষটা আমার বাড়িতে আড্ডা মারতে মারতে আমার হাতে ৮০০ টাকা ১০০০ টাকা গুঁজে দিয়ে গেছেন।’ অভিনেতা খুবই শোকাহত এবং মর্মাহত এই ঘটনায়। বারবার তাঁর কথা বলতে গিয়ে চোখের কোণায় জল আসছে। তিনি চান পরের জন্মে যদি আবার তিনি জন্মগ্রহণ করেন, তাহলে এই বাবু দা যেন তাঁর দাদা হয়ে জন্মায়।
উল্লেখ্য, বাবার মতোই তিনি বেশ স্বনামধন্য পরিচালক। তিনি পরিচালনা করেছিলেন জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এরাও শত্রু’র। এছাড়াও, ‘উড়ন তুবড়ি’ ধারাবাহিকের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। ‘কন্যাদান’ ধারাবাহিকের সংলাপের দায়িত্বে ছিলেন। আগামী দিনে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও জিতু কমলকে নিয়ে ‘বিদ্রোহিনী’ ছবি করার কথা ছিল, কিন্তু সেই সুযোগ আর হল না।