ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় ঝাঁ চকচকে সুন্দর জীবন। কিন্তু আদৌও কি তাই? না! তাদের অনেকেরই এই জীবনের পিছনে রয়েছে কুৎসিত অন্ধকারময় জীবন। যা কেউই এড়াতে পারেনা। আর এরকমই এক জীবনের সাক্ষী টলিপাড়ার (Tollywood) জি বাংলার (Zee Bangla) ইচ্ছে পুতুলে(Icche Putul)র ‘জিষ্ণু'(Jishnu) অর্থাৎ অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী (Shamik Chakraborty)। নিজের জীবনের সেই অভিজ্ঞতার কথাই শোনালেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে।
শমীকের বাড়ি কৃষ্ণনগরে। শমীক থাকেন কলকাতায়। মা থাকেন কৃষ্ণনগরে। শমীকের মা সোনালী চক্রবর্তী মাঝেমধ্যেই ছেলের কাছে আসেন। এরপরই রচনা প্রশ্ন করেন, তোমার এই সাফল্যের পিছনে নিশ্চয়ই মায়ের অনেক অবদান আছে। শমীক জানান, ‘অনেকটাই বেশি। যখন আমি স্ট্রাগল করছিলাম, কৃষ্ণনগরের ছেলে যখন কলকাতায় প্রথম আসি অনেক স্বপ্ন নিয়ে।
‘কি করে ঢুকব? কোথায় অডিশন হয়? কি করতে হয় সেসব কিছুই জানতাম না’। এরপরই রচনা প্রশ্ন করেন, তুমি যে ছেড়ে চলে এলে বাবা-মার সাপোর্ট ছিল? শমীক বলেন, ‘হ্যাঁ’। তারপরই বলেন, কলকাতায় এসে তাকে কেমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তার কথায়, ‘খুবই ছোটো রুম ছিল। পাখির খাঁচার মত। ওখানেই রান্না করতাম, বাসন মাজতাম, ঘর পরিষ্কার করতাম, সব কাজ আমি করতাম।
আরও পড়ুনঃ অধ্যাপনার সাথেই করছেন অভিনয়, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকপট অনিকেতের ঠাম্মি অভিনেত্রী ‘সুকৃতি’
মা এসব জানত, তবে বাবাকে কিছু বলিনি। বাবা বিরোধী ছিল এসবের। তাই খোঁজও নেয়নি, কথাও বলেনি। তখন তো আমার কাছে ইনকাম কিছু ছিলনা। তখন মা-ই আমার রুমের ভাড়া দিত। পরে আমি মডেলিং করলাম, সেখান থেকে যা ইনকাম হত। তা দিয়েই বাড়ি ভাড়া দিতাম’। এরপরে তার বাবা সেই ফ্ল্যাটে এসে দেখেন এত ছোটো ফ্ল্যাটে ছেলে থাকছে।
View this post on Instagram
তিনি প্রশ্ন করেন এত ছোটো ঘরে কি করে থাকে? ছেলের এই অবস্থা দেখে বাবা একটা ফ্ল্যাট কিনে দেন তাকে। এরপর থেকে সেখানেই থাকেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান, ইচ্ছে পুতুল চরিত্র টেলিকাস্ট হওয়ার এক মাস পর থেকেই জিষ্ণু চরিত্রটি পান। বর্তমানে তিনি একদিকে জিষ্ণু আর জলসার ‘সন্ধ্যাতারা’ ধারাবাহিকে অঙ্কন চরিত্রে অভিনয় করছেন।