সবাই কিন্তু সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মায় না। সবার জীবনেই রয়েছে ঘাত-প্রতিঘাত। এই ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে কেউ হয়েছেন সফল সার্থক, আবার কেউ কেউ হয়েছেন ব্যর্থ। তবে যারা সফল হয়েছে, তাদের ছিল ধৈর্য, তাই তারা ভেঙে পড়েনি। তারা সবসময় মাথায় রেখেছিল, ‘সময় কখনো থেমে থাকেনা’। আর সেরকমই ধৈর্যবান মানুষ হলেন, ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় (Writwik Mukherjee)।
যিনি বর্তমানে অভিনয় করছেন জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মন দিতে চাই’ (Mon Dite Chai)- এ সোমরাজের চরিত্রে। এর আগে তার দেখা মিলেছিল, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে। এ হেন অভিনেতা কিন্তু সোনার চামচ দিয়ে মুখে জন্মায়নি। জীবনে এসেছে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত। সেইসবকে অতিক্রম করে আজ তিনি সাত্যকি কিংবা সোমরাজ হতে পেরেছেন।
তিনি ছিলেন কলাবিভাগের ছাত্র। অভিনয় ভালোবেসে থিয়েটারে যোগ দেন, নাটক করতেন, স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি করতেন। কিন্তু সেসবই ছেড়ে দেন। অভিনেতার কথায়, ‘থিয়েটার করতাম, মনের খিদে মিটলেও পেটের খিদে মিটত না। তাই অভিনয় ছেড়ে কাজ খোঁজা শুরু করি’। এই কাজ খোঁজার দৌলতে বেশ কিছু কাজ করেছেন, আবার ছেড়েও দিয়েছেন।
তার কথায়, ‘বিভিন্ন ধরনের চাকরি করেছি। কলেজ স্কুলের বাইরে লিফলেট বিলি করেছি। দিনের শেষে মালিক যখন জিজ্ঞাসা করতেন কত অ্যাডমিশন হল, না পারলে যেটা পেতাম কোম্পানির কাছে থেকে, সেটা ভালো লাগত না’। শুধু তাই নয়, এমনকি তিনি পাড়ার মোড়ে সবজিও বিক্রি করেছিলেন। এত কিছু ঘাত-প্রতিঘাতের পরেই তার ভাগ্য খুলে গেল। সুযোগ পেলেন ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’এ।
এখন ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি খুশি। তিনি বেশ উপভোগ করছেন কাজটাকে। তার কথায়, ‘ প্রত্যেকটি কাজের আলাদা আলাদা পদ্ধতি আছে। ধারাবাহিকে অভিনয়েরও আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। এই নতুন অধ্যায় আমি বেশ উপভোগ করছি। নতুন ধারাবাহিকে দর্শকরা ভালোবাসা দিক, এটাই আশা করছি’।