প্রত্যেক মানুষই চায়, সবাই তাঁকে চিনুক, জানুক। ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভবনে, মানবের মাঝে বাঁচিবারে চায়’। এই কথাটা সবার জীবনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেউ নিজের লোকজনের কাছে জনপ্রিয় হয়, কেউ নিজের এলাকায় জনপ্রিয় হয়, আবার কেউ বা গোটা বিশ্বের কাছে জনপ্রিয়। সবাই জনপ্রিয় নিজেদের ভালো কাজের মধ্য দিয়ে। তেমনই একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন, জুঁই সরকার (Juiee Sarkar)।
জুঁই সরকারও চেয়েছিলেন তাঁকে আর পাঁচটা মানুষ চিনুক জানুক। তাঁর পরিচিতিটা সব মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ুক। তাই তো মফস্বল অঞ্চল থেকে এসে লাইমলাইটে নিজের পরিচয় করেছেন। পরিচয় করলেও আক্ষেপ থেকে গিয়েছে। নিজের মনের মত চরিত্রে কখনোই অভিনয়ের সুযোগ পাননি। কখনও নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি।
অভিনেত্রীর যদি কর্মজীবন লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, পার্শ্ব চরিত্রেই তিনি জনপ্রিয়। তাঁকে আমরা দেখেছি জি বাংলার ‘উমা’ ধারাবাহিকে, সেই পার্শ্ব চরিত্রেই। শুধু উমা নয়, বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, আমার দূর্গা, যমুনা ঢাকি তেও দেখা গিয়েছে পার্শ্ব চরিত্রে। বর্তমানে অভিনয় করছেন স্টার জলসার ‘মাধবীলতা’ ধারাবাহিকে।
মালদার চাঁচোল থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সাংবাদিকতা পড়তে। ইচ্ছা ছিল বড় সাংবাদিক হবেন। কিন্তু সাংবাদিক না হয়ে, অভিনেত্রী হয়ে যান। জীবন চলতে থাকে অন্যদিকে। কখনও ভাবেননি, এই জায়গায় আসবেন বলে। দেখতে খুবই সুন্দর, অভিনয় দক্ষতাও রয়েছে। কিন্তু সুযোগ আসেননি কখনও নায়িকার। সুযোগ এসেছে, নায়িকার দিদি বা পরিবারের কোনো সদস্যের। কিন্তু কেন এরূপ ঘটনা।
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়ররা আমাকে শিখিয়েছেন, নিজের কষ্ট সকলের সামনে আনতে নেই, শত্রুরা হাসাহাসি করবে এটাকে নিয়ে। আর তাই নিজের আক্ষেপের কথা মনেই রেখে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, এখন হয়ত ভালো চরিত্রের সুযোগ পাচ্ছিনা, একটা সময় ঠিকই পাব। তখন নিজের অভিনয়কে আরও ভালো করে ফুটিয়ে তুলতে পারব সকলের সামনে’।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী বরাবর খুব হাসিখুশি থাকতে ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে, তিনি জানিয়েছিলেন তার কিছু শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে যার ফলে তিনি মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু সব কিছুর পরেও তার কাছে হাসি, আনন্দ, মজা করে বেঁচে থাকাটাই সব। তার ছোট বোন অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছেন। বোনকে সবরকম ভাবে সামলে থাকার সামলে রাখার প্রচেষ্টা অনবরত করতে থাকেন অভিনেত্রী জুঁই।