বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন অভিনেত্রী হলেন মিতা চ্যাটার্জী (Mita Chatterjee)। বয়স ৮৬ হলেও এখনও তিনি ৪৬। তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে অনেক গুলো ছবি। তিনি সবার সাথেই কাজ করেছেন, পুরানো প্রজন্ম থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্ম। মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে শুরু করে, বর্তমানের জিৎ পর্যন্ত সবার সাথেই সাবলীল ভাবে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয়ের ভক্ত সকলেই। কখনও তাঁকে দেখা যেত, কুটিল পিসিমা কিংবা শাশুড়ি আবার স্নেহশীলা অভিভাবিকার চরিত্রে।
তাঁর প্রথম অভিনয় শিশু শিল্পী হিসেবে ভুলি নাই (১৯৪৭) ছবিতে। তবে তখন তাঁর নাম ছিল নমিতা। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। কারণ, ইন্ডাস্ট্রিতে তিনজন নমিতা ছিলেন, নমিতা সিংহ, নমিতা সেনগুপ্ত ও নমিতা চ্যাটার্জি। তাই নমিতা চ্যাটার্জী বদলে তাঁর নাম হয় মিতা চ্যাটার্জী। তিনি অনেক সিনেমাতেই অভিনয় করেছেন।
তারপর এল ধারাবাহিকের যুগ, সেখানেও তিনি সফল। ডিডি বাংলায় সম্প্রচারিত ‘জন্মভূমি’তে পিসিমার ভূমিকাতে অভিনয় করেছেন তিনি। এখান থেকেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, জি বাংলার ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকে। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে এখন তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছেন।
বর্তমানে যেসব ধারাবাহিক হচ্ছে, সেই ধারাবাহিক প্রসঙ্গে তিনি একটু তিতিবিরক্ত। বর্তমানে ধারাবাহিকে যেসব জিনিস দেখানো হয়, তা নিয়ে খুশি নন তিনি। বর্তমানে যেসব ধারাবাহিক গুলো দেখানো হচ্ছে, সেগুলো কি বর্তমান সমাজে প্রাসঙ্গিক? এই যেমন এক একটা ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, একজনের একাধিক স্ত্রী, একজন নারী একাধিক সম্পর্কে লিপ্ত, বর্তমানের এই কনটেন্ট কী সমাজে প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুনঃ Mita Chattopadhyay : ৮৬ বছর বয়সেও প্রাণবন্ত, রইল রচনার সাথে মিতা চট্টোপাধ্যায়ের ভিডিও
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘এর উত্তর সমাজসমীক্ষকরা ভালো করে দিতে পারবেন। সিরিয়ালের দৃশ্য ছোটোদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। আমরা ছোটো বেলায়, জামাটা খুব সুন্দর এটুকুই বলতে পারতাম। কিন্তু ওই জামাটাই যে চাই, সেই জেদ ছিলনা। ‘
এরপরেই তিনি বলেন, ‘এখন যেভাবে টিভি সিরিয়াল গুলোতে ভালো বাড়ি, ভারী ভারী গয়না, ভালো সাজগোজ দেখানো হয়, বাস্তবে কি আমরা সেরকম থাকি? না থাকিনা। এই জিনিস গুলোই সাধারণ মানুষদের আকাঙ্ক্ষাকে বাড়িয়ে দেয়। তবে এটা ঠিক যে এটা বিনোদনের জন্য। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, আমার জন্য যদি কারোর ক্ষতি হয় তার জন্য দায়ী আমিই। এই ছোট মনগুলোকে পীড়িত করলে টিআরপি বাড়ে না কমে বুঝতে পারি না।’