অভিনয় করতে কে না চায়, সকলেই চায় সেলেব্রেটি হতে। সবারই মনে একটা সুপ্ত বাসনা থাকে। আর এই সুপ্ত বাসনাকে প্রাধান্য দিতে, সকলেই আসেন অভিনয়ে। কেউ সফল সার্থক, আবার কেউ বা ব্যর্থ হয়। কেউ আসেন অন্য কিছু করতে, কিন্তু সফল হয়ে যান অভিনয়ে। এমন অনেক দৃষ্টান্ত কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। পার্শ্ব চরিত্রে একজন সফল অভিনেত্রী হলেন, নবনীতা মালাকার (Nabanita Malakar)।
তিনি টলি ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তিনি এই নামের থেকে তার চরিত্রের নামেই বেশি জনপ্রিয়। তাকে সবাই ঐশ্বর্য কিংবা লক্ষ্মীপ্রিয়া বলেই চেনেন। অভিনেত্রী জলপাইগুড়ির মেয়ে। সে দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবে। কলকাতায় আসেন নৃত্যশিল্পী হিসেবে। কিন্তু নৃত্যশিল্পী হওয়ার বদলে তার ডাক আসে অভিনয়ের জন্য। তারপর থেকেই শুরু হয় অভিনয়।
ইন্ডাস্ট্রিতে মুখ্য চরিত্রের হাত ধরেই আসেন ধারাবাহিকে। কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আপনজন’- এ শিউলি চরিত্রের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়, ধারাবাহিক যাত্রা। এরপর জি বাংলার ‘এই ছেলেটা ভেলভেলেটা’ তে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই চরিত্রে খলনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আর তার চরিত্রের নাম ছিল ঐশ্বর্য। তাই তাকে সবাই ঐশ্বর্য হিসেবেই চেনে।
এরপর দেখা মেলে পুণ্যি পুকুর, মনসা ধারাবাহিকে তবে এগুলোতে কিন্তু পার্শ্ব চরিত্রেই অভিনয় করেন। কিন্তু মুখ্য চরিত্রেও তাকে দেখা গেছে। কালার্স বাংলার বেশিরভাগ ধারাবাহিকে তাকে মুখ্য ভূমিকায় দেখা মিলত। এই যেমন দেখা মিলেছে, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য তে লক্ষীপ্রিয়ার ভূমিকায়, আরব্য রজনী তে নাফিসার ভূমিকায়, মঙ্গল চন্ডীতে মা চন্ডীর ভূমিকায়, সাগর জ্যোতিতে জ্যোতির ভূমিকায়।
বোঝায় যাচ্ছে, অভিনেত্রীর জীবনে রয়েছে অনেক ওঠা পড়া। তবে এই অভিনেত্রীর এতগুলো লিড চরিত্রের পরেই দেখা মিলল পার্শ্ব চরিত্রে। জি-বাংলার পর্দায় সদ্য শুরু হয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’ এই ধারাবাহিকে দেখা মিলল তার। তবে অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। তাকে ইউটিউবে ভ্লগ করতে দেখা যায়।