বাংলা বিনোদন দুনিয়ার জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন, সুদীপা বসু (Sudipa Basu)। অভিনয় করেছেন অনেক ধারাবাহিকে। তিনি সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। শুধু ধারাবাহিকে নন বড় পর্দাতেও তিনি কাজ করেছেন। কখনো তাঁকে দেখা গেছে খিটখিটে মানুষ হিসেবে, আবার কখনো দেখা গেছে খুবই পজিটিভ চরিত্রে।
শুরুটা হয়েছিল ‘এক আকাশের নিচে’ দিয়ে। তাঁকে দেখা গিয়েছিল অনিতা অর্থাৎ রজতাভ দত্তের স্ত্রীর চরিত্রে। এই ধারাবাহিক দিয়েই শুরু, তারপরই জীবনটা অন্যরকম হয়ে গেল। আগের জীবন পুরোটাই বদলে গেল। একটা কালো অতীত। অভিনয়ে আসার যাত্রাপথটা মসৃণ ছিলনা। বরং ছিল বন্ধুর। মা-বাবাকে নিয়ে তিন বোনের সংসার। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। ১৯৮৬ তে বাবা মারা যান। ব্যস তারপর শুরু হল আসল লড়াই।
তাঁর কথায়, ‘খুব ছোটো থেকেই আমি আর মা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে লজেন্স, বিষ্কুট বিক্রি করতাম। এই ভাবেই হাত খরচ জোগাতাম। খুবই কষ্ট করতে হয়েছে, কিন্তু অভিনয়ের খিদেটা ছিল ছোটোবেলা থেকেই। ‘তারপর ২০০৬ সালে মা মারা যান তিনি আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। এই নিঃসঙ্গ জীবন আর অভিনয় নিয়েই কাটছে দিন।
টিভিতে আসার আগে থিয়েটার করতেন, মেঘনাথ ভট্টাচার্যের (Meghnath Bhattcahrya) ‘সায়ক’ নাট্যাদলে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই পাড়ার ক্লাবে নাটক করতেন। তারপর অঞ্জন দত্তের একটা ওয়ার্কশপে গিয়েই জীবন বদলে যায়। এরপরই সুযোগ পান ‘পাতি প্রেমের গপ্পে’। আর তাই অঞ্জন দত্তকে এখনো নিজের গুরু বলে মনে করেন। শৈবাল বসুর সাথে বিয়ের পর কলকাতার তাজ-বেঙ্গল হোটেলে চাকরি করতেন।
কিন্তু মেঘনাথ ভট্টাচার্য তাঁকে জানান, থিয়েটার করতে গেলে চাকরি ছাড়তে হবে। তাই মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে অভিনয়টাকেই জড়িয়ে ধরেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় অভিনয়ের যাত্রা। একে একে অভিনয় করেছেন, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘দুর্গা’, ‘ফিরকি’, ‘বাই বাই ব্যাংকক’, ‘আবার ব্যোমকেশ’, ‘বালুকাবেলা ডট কম’, ‘মহালয়া’ সহ আরও অনেক ছবি ও ধারাবাহিক। বর্তমানে স্টার জলসার ‘মেয়েবেলা’ ধারাবাহিকে তাকে এক অন্যরকম চরিত্রে দেখা যাচ্ছে।