বর্তমান দিনে ধারাবাহিকের অনশ্চিয়তায় মনখারাপ কলাকুশলী এবং অনুরাগীদের। এখন ধারাবাহিক মানেই একবছর দুবছর নয়, বরং চার পাঁচ মাসেই শেষ হওয়াই ভবিতব্য। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দায়ী টিআরপি। কারণ এখন ধারাবাহিকের শেষ কথা টিআরপিই। আর তাই টিআরপি যখন কম থাকে তখন ধারাবাহিক শেষ না করে উপায় থাকে না। আর তাই তিন মাসের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল ধারাবাহিক হল ‘বৌমা একঘর’।
এই ধারাবাহিকটি এক বছরও হয়নি, তিন মাসেই শেষ করে দেওয়া হয় ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিক শুরু হলে তার শেষ হবেই, কিন্তু তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে ধারাবাহিক এটা কেউই মেনে নিতে পারেনি। ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা দে (Susmita Dey)। জি বাংলার ‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিক দিয়ে শুরু করেছিলেন পথচলা। ওই ধারাবাহিক বেশ সাফল্যিত হলেও, এই ধারাবাহিকে তেমন সাফল্য দেখা যায়নি। এরপর আবার স্টার জালসাতেই আরম্ভ হয় ‘পঞ্চমী’ (Panchomi)।
বৌমা একঘরের পর বেশ মুষড়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। আর তাই তো এবার অভিনেত্রীর তৃতীয় ইনিংস শুরু। স্টার জলসা তেই নিজেকে গড়তে লাগলেন। নতুন ধারাবাহিক ‘পঞ্চমী’ দিয়ে শুরু করলেন নতুনভাবে জয়যাত্রা। নাগদেবতার অলৌকিক কাহিনী দর্শকদের বেশ মন জয় করতে পেরেছে তা বোঝাই যাচ্ছে। কারণ প্রথম সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় বেশ ভালো ফল করেছে ধারাবাহিকটি। তার টিআরপির নম্বর ৮.৪। এই সাফল্যে বেশ খুশি হয়েছেন নায়িকা।
অভিনেত্রী বলেন, ‘ আমি খুব খুশি হয়েছি এটা দেখে, এই খুশি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। যখন আগের ধারাবাহিকটি তিন মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়, তখন খুব দুঃখ হয়েছিল। আর সেই দুঃখের পর এই ফলাফল। যা পুরানো ক্ষত কে প্রলেপ দিল’।
তবে বর্তমানে অভিনেত্রী এখন বাড়িতেই আছেন ছুটিতে। শ্যুটিং করতে করতে কোমরে চোট পেয়েছেন। আর তাই বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে তিনি শ্যুটিং এ ফিরবেন। আর টিআরপির ফলাফল দেখে মনের জোড় বাড়িয়ে যে খুব তাড়াতাড়িই ফিরবেন তা বলাই বাহুল্য।