যাদের কেরিয়ারের ভাগ্য বেশ সুন্দর, তাদের পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। তারা সব সময়ই সফল। একটা কাজ শেষ হয়ে গেলে, অপেক্ষা করতে হয় না, আর একটা কাজের জন্য। তাদের কাজ জীবনের দোরগোড়ায় এসে অপেক্ষা করছে, শুধু তাদের সম্মতির জন্য। তেমনই একজন সাফল্যিত অভিনেত্রী হলেন, টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ, ত্রমিলা ভট্টাচার্য (Tramila Bhattacharya)।
বর্তমানে মানুষের কাছে জনপ্রিয় ‘পটল কুমার গান ওয়ালা’ ধারাবাহিক থেকে। তাই সবার কাছে মনে হতে পারে, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। তা কিন্তু নয়, তিনি বহুবছর ধরে রয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। ১৯৯৭ সালে ‘সীমারেখা’ ধারাবাহিক দিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা। যীশু সেনগুপ্তের নায়িকাও হয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর মা চাইতেন না, মেয়ে এইসব করুক। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর, বাধ্য হয়েই অভিনয় কে পেশা হিসেবে বাছেন।
কিন্তু মায়ের ছিল ঘোর আপত্তি। তিনি জানিয়েই দিয়েছিলেন, আর যাই করো না কেন, পড়াশোনাটা যেন ঠিক ঠাক হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় পথচলা। একে একে অভিনয় করেন, ‘জয় কালী কলকাতা ওয়ালি’, ‘মোমপালক’, ‘জিয়ন কাঠি’, ‘ময়ূরপঙ্খী’ সহ আরও অনেক ধারাবাহিক। অভিনেত্রীর শেষ ধারাবাহিক ছিল ‘মৌ এর বাড়ি’।
এবার আবারও দেখা মিলবে পর্দায়। তাঁকে আবার দেখা যাবে, স্টার জলসার নতুন আগত ধারাবাহিক ‘পঞ্চমী’ তে। রাত ৮:৩০ টার স্লটে শুরু হয়েছে এই সিরিয়ালটি। তাঁকে দেখা যাবে, মুখ্য চরিত্র কিঞ্জল চরিত্রটির মায়ের ভূমিকায়। সব জায়গাতেই তিনি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন। তাই অভিনেত্রীর মেয়ের বন্ধুরা তাঁকে দেখে ভয় পেত।
তবে তাঁর কাছে নেগেটিভ মানেই সব নেগেটিভ নয়। তিনি চরিত্রটিকে নিজের দৃষ্টি কোণ দিয়ে বিচার করেন। তবে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করা কিন্তু সহজ ব্যাপার না। তার মনে করেন, শারীরিক মানসিক একটা চাপ লাগে, প্রচুর ইমোশনাল ক্ল্যাশ হয়। মনের সঙ্গে যুদ্ধ চলে, নিজের প্রকৃত অস্তিত্ব টাই ভুলে যেতে হয়।