‘অন্তঃপুরের কথা’ এই কথাটা শুনলেই একটাই কথা মাথায় আসে, তা হল মেয়েদের কথা এমন অনেক উপন্যাস, গল্প আছে, যেখানে এই অন্তঃপুর বাসিনীদের কথা দীর্ঘ বর্ণনায় লেখা রয়েছে। যখন অন্তঃপুরের কথা গল্প উপন্যাসে থাকে, তাহলে কেন দেখা যাবে না, ধারাবাহিকে? আর এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সুরিন্দর ফিল্মস সবার সম্মুখে নিয়ে এলেন এক নতুন ধারাবাহিক যার নাম ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)।
স্টার জলসার (Star Jalsha) অতি জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে মেয়েদের জীবনের অন্তঃসারশূন্যতা প্রকাশ পেয়েছে। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র মৌয়ের ভূমিকায় রয়েছেন, জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুকৃতি মজুমদার এবং তাঁর বিপরীতে নির্ঝরের ভূমিকায় রয়েছে জনপ্রিয় অভিনেতা অর্পন ঘোষাল। এছাড়া তাঁর মায়ের চরিত্র অর্থাৎ কৃষ্ণার চরিত্রে থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
ধারাবাহিকের কাহিনী অনুসারে নির্ঝর আর মৌয়ের বিয়ের এপিসোড দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে এখনও মৌকে বসতে দেখা যায়নি। আর তাই দর্শকরা অপেক্ষা করছিলেন কবে সেই শুভক্ষণ আসবে। আর খুব তাড়াতাড়িই এসে গেল সেই শুভক্ষণ। শত বাঁধা বিপত্তির পর দুজনের বিয়ে বেশ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হল। এবার দেখার পালা কেমন হয় দুজনের পরবর্তী জীবন।
অন্যদিকে ডোডোর মা কৃষ্ণা এই বিয়ে মেনে নেয়নি। কারণ মৌয়ের মা এর সাথে তাঁর সম্পর্ক ভালো না। মৌয়ের মা মধুমিতা, বন্দনা এবং বীথি তিনজন খুব ভালো বন্ধু ছিল। কিন্তু বন্ধুত্বের মর্যাদা না দিয়ে তিনি বন্দনার স্বামীকে পটিয়ে নিজে বিয়ে করে নিয়েছিল। আর তাই বীথি ভাবছে মৌ -ও ওরকম।
অন্যদিকে বীথি কে কুবুদ্ধি দেয় ডোডোর মামি। কীভাবে মৌকে শায়েস্তা করতে হবে। তবে মৌয়ের মায়ের ভুল কর্মের পিছনে দায়ী নাকি ডোডোর মামিই। কারণ মধুমিতার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ডোডোর মামার। কিন্তু তা হয়নি। এর পিছনে হয়ত হাত রয়েছে, ডোডোর মামির। শেষ পর্যন্ত কীভাবে সব সত্যি, সব খোলস সামনে আসে সেটাই দেখার।