বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন ময়না মুখার্জী (Moyna Mukherjee)। সকলেরই বেশ ভালো লাগে এই অভিনেত্রীকে। কখনোই তাঁকে নেগেটিভে দেখা যায়নি। বরং পজিটিভেই তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয়। সকলেই তাঁকে ভালোবাসেন। একটা মমতাময়ী, মায়াভরা মুখ তাঁর। একেবারে সার্থক মায়ের চরিত্র। কিন্তু এই মায়াময়ী চরিত্র দেখে দর্শকরা বোধ হয় বোরিং ফিল করছেন। আর তাই তারা প্রশ্ন তুলেছেন সবসময় দুঃখী চরিত্রে ময়না মুখার্জীকে কেন দেখা যায়।
গত ৬ ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা থেকে স্টার জলসার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’ (Balijhor)। ধারাবাহিকটি ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনীর। ধারাবাহিকের মূল কাহিনী সমুদ্র সেন, মহার্ঘ্য, ঝোরা এবং স্রোতকে নিয়ে। মহার্ঘ্যর চরিত্রে রয়েছেন কৌশিক রায়। স্রোতের চরিত্রে রয়েছেন ইন্দ্রাশিষ রায় এবং ঝোরার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তৃণা সাহাকে।
ঝোরার বাবা হলেন সমুদ্র সেন। এই চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ভরত কল। আর ঝোরার মায়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ময়না মুখার্জীকে। এই ধারাবাহিকেও তাঁকে দেখা গেছে করুণাময়ী মায়ের চরিত্রে। মায়াভরা মুখ, পজিটিভ মা। অন্যদিকে ‘এক্কাদোক্কা’ তেও দেখা গিয়েছিল মায়ের চরিত্রে। সেখানেও সেই দুঃখী ভাব। ‘ধুলোকণা’য় মিনির মায়ের চরিত্রেও এমন ভাব দেখা গিয়েছিল।
আর তাই দেখে লেখিকার কাছে প্রশ্ন তুলেছেন দর্শকরা। কেন বারবার ময়না মুখার্জীকে দুঃখী চরিত্রে রাখেন। ময়নার জীবনে কি শুধুই দুঃখের ভার আর সমস্যা রেখেছেন ধারাবাহিক নির্মাতারা। ধূলোকণা তে দেখা গেছে মেয়ে পাগল, এক্কাদোক্কা তে বরের সুখ নেই, আর এই বালিঝড়েও তিনি সুখী নন। কারণ তার স্বামী সমুদ্র সেন পিএ -এর সাথে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ। আর তাই এমন প্রশ্ন দর্শকদের।
উল্লেখ্য, ঝোরার বাবা সমুদ্র সেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মানুষ। তিনি নিজের সবকিছু দিয়ে গড়ে তুলেছেন মহার্ঘ্যর মত একটা মানুষকে। আর তাই তিনি চান মহার্ঘ্যর সাথে ঝোরার বিয়ে দিতে। অন্যদিকে ঝোরা ভালোবাসে মধ্যবিত্ত স্রোতকে। এবার দেখার পালা কীভাবে কাহিনী এগোয়।