Ankita Mallick : জগদ্ধাত্রী অর্থাৎ জগতের মাতা। ঠিক তেমন ভাবেই জি বাংলায় (Zee Bangla) দেখা গিয়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri) নামক ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র জগদ্ধাত্রীকে উপরিউক্ত কথানুযায়ী তৈরী করা হয়েছে। একদিকে জগদ্ধাত্রী যেমন সামলান সংসার, অন্যদিকে সামলান সমাজকেও। সমাজের সব অপরাধীদের তিনি শাস্তি দেন। একেবারে দুঁদে গোয়েন্দা। অনেকেই তাঁর চরিত্র দেখে ভাবেন সিরিয়াল বলেই সম্ভব।
এই কথাটা কিন্তু জগদ্ধাত্রী অভিনেত্রী অঙ্কিতা মল্লিকের ক্ষেত্রে খাটেনা। টিভির পর্দাতে যেমন, বাস্তবেও অভিনেত্রী তেমন। সম্প্রতি তিনি নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি শুধু পর্দায় জগদ্ধাত্রী নন, বাস্তবেও জগদ্ধাত্রী। যদিও বাস্তবে তাকে সাহসী হতে সাহায্য করেছে পর্দার জগদ্ধাত্রীই। কারণ একটা মানুষ যখন কোনো একটি চরিত্রে অভিনয় করেন, তখন সেই চরিত্রের মধ্যে একেবারে ঢুকে যান।
আর সেটাই হয়েছে অঙ্কিতার ক্ষেত্রে। বাইরে যখনই দেখেছেন খারাপ কিছু হচ্ছে, তখন পর্দার জগদ্ধাত্রী আর বাস্তবের অঙ্কিতা মিলেমিশে একাকার। রাত তখন ১১:৩০। শ্যুটিং থেকে বাড়ি ফিরছেন। খুব ক্লান্ত ছিলেন সেদিন , গাড়ির পিছনে বহে ছিলেন। হঠাৎ গাড়ি চলতে চলতে ব্রেক কষে। সামনে দেখা যায় একজন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা রাস্তা পার হচ্ছিলেন, আর তাকে ধাক্কা মেরে চলে যায় একটা বাইক।
ওই বৃদ্ধাকে স্থানীয় মানুষের হাতে তুলে দিয়েই বাইকটিকে ধাওয়া করেন। ধাওয়া করতে করতে সিগনালে বাইকটিকে ধরে ফেলেন। তারপর গাড়ি থেকে বেড়িয়ে বাইকে থাকা ব্যক্তিকে টেনে এক থাপ্পড় মারেন। সেই রাতেই স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে প্রশংসাও পান।
এই ঘটনা শুনে কি মনে হচ্ছে? অঙ্কিতার রিল লাইফ আর রিয়েল লাইফের কোনো পার্থক্যই নেই। যে-ই জ্যাস সান্যাল বা জগদ্ধাত্রী, সে-ই অঙ্কিতা মল্লিক। এই কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ‘জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালে অভিনয় না করলে এমন সাহস কখনোই রাস্তায় দেখাতে পারতাম না। ভবিষ্যতেও এমন বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আমি বরাবরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পছন্দ করি’।