বাংলা সিনেমা (Bengali Movie) জগতের আরেক পরিচিত অভিনেতা হলেন অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra)। সিনেমায় তাকে সেভাবে দেখা না গেলেও বর্তমানে জি বাংলা চ্যানেলের ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ এর সঞ্চালক হিসাবে তাকে সকলেই চেনেন। সম্প্রতি, বাংলা সিনেমা জগতের মহানায়ক উত্তম কুমারের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এইবছরও ‘মহানায়ক’ নামাঙ্কিত সন্মান তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলা সিনেমা জগতের কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর হাতে।
সেই তালিকায় ছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ থেকে শুরু করে অভিনেত্রী শুভশ্রী, শ্রাবন্তী, সায়ন্তিকা, কোয়েল, সোহিনী ইত্যাদি অভিনেতারা। শুধু তাই নয় ঐদিন সেখানে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মারফত। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে তারকা থেকে পরিচালক সকল যোগ্য ব্যক্তির হাতে সন্মান গুলি তুলে দেন। তবে প্রত্যেকবারের মতোই যথারীতি এইবারেও সমালোচনার মুখে পড়েন কিছু অভিনেতা।
অভিনেতা অঙ্কুশ বা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ‘মহানায়ক’ সন্মান ২০২৩ (Mahanayak Award 2023) পাওয়ার যোগ্য কিনা সেই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় দর্শক মহলে। দর্শকের বেশিরভাগেরই মত অভিনেতা অঙ্কুশ বা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা এই সম্মানের জন্য যোগ্য নন। এই নিয়ে কার্যতই ট্রোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে অভিনেতা তার এই সন্মান হাতে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন যা সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে বাধ্য।
অভিনেতা নিজের ওই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “পুরষ্কার অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই গ্রহণ করলাম । প্রচুর পরিশ্রম বাকি নিজেকে এই পুরস্কারের যোগ্য করে তোলার জন্যে। আপাতত আমার মত একজন সামান্য “নায়ক” কে সরকারের তরফ থেকে এই “মহানায়ক” সম্মান টি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙏 নজরের সামনে সাজিয়ে রেখে দেবো যাতে রোজ চোখ পড়লেই নিজেকে বলি “ভাগ্যবান দয়া করে ভগবান বানিয়েছেন .. যোগ্যতা পরিশ্রম করে নিজে অর্জন করো। ”
View this post on Instagram
অভিনেতার এই জবাব, আশা করা যায় ট্রোলারদের যোগ্য জবাব। প্রসঙ্গত, শুধু এই বছরই নয়, গত বছরও অভিনেত্রী নুসরত এই পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নুসরত এমন একটা সম্মানের জন্য কতটা যোগ্য সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দর্শক। তবে মুখ্যমন্ত্রী, এই পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগেই বলে দিয়েছিলেন যারা যোগ্য তারা সকলেই এই পুরস্কার পাবেন।