Anurager Chowa : স্টার জলসার (Star Jalsha) দর্শকদের কাছে যে ধারাবাহিক এখন খুব জনপ্রিয় সেটি হল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। প্রত্যেকদিন টিভির পর্দায় অপেক্ষা করে থাকেন ধারাবাহিক দেখার জন্য। বর্তমানে ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনাময় পর্ব। সূর্য এখন কাঠগড়ায়, সে কি মুক্তি পাবে নাকি মুক্তি পাবেনা? তাই নিয়ে সকলেই চিন্তায় রয়েছেন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই সূর্য ছাড়া পেয়ে যাবে।
ধারাবাহিক যারা দেখেন তারা জানেনই, মিশকাকে সূর্য মারেনি, মিশকা বেঁচে আছে। সে ছদ্মবেশ নিয়ে দীপার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। মিশকাকে ধরে ফেলে দীপা। কিন্তু তা সত্ত্বেও পালিয়ে যায়। তবে এবারে আর পালানোর কোনো পথ খুঁজে পাবেনা মিশকা। কারণ একই অটোতে উঠবে মিশকা, দীপা, তবলা। মিশকা বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আর সে পালাতে পারেনা।
এবার মিশকাকে নিয়ে তবলা হাজির হবে কোর্টে। অন্যদিকে সূর্য কাঠগড়ায়। কোনো প্রমাণ না থাকায় সূর্যকে অনেক দোষারোপ করতে থাকে উকিল। তিনি বলেন, সূর্য সেন একজন ঘৃণ্য মানুষ। সূর্য সেনগুপ্তর স্ত্রীর সাথে দূরত্ব বাড়ায় মিশকার কাছাকাছি আসে সূর্য। এখন দূরত্ব কমে গিয়েছে বলে মিশকাকে ভুলে গিয়ে সুখে সংসার করছে।
আর যখন সত্যিটা সামনে চলে আসে, তখন মিশকাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সূর্য এইসব শুনে নিজেকে নির্দোষ বলে তুলে ধরে, তা সত্ত্বেও কেউ শুনতে চায়না। মিশকার উকিল সূর্যর কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির আর্জি জানায়। আর সেই আর্জি মেনে তার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড নিশ্চিত করা হয়। আর ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়।
ঠিক তখনই উপস্থিত হয় দীপা। দীপা এসে জানায়, জীবিত মানুষের খুনের শাস্তি কাউকে আদালত দিতে পারেন না। আমি প্রথম থেকেই জানি আমার স্বামী নির্দোষ। ডিফেন্স লইয়ার বিচারককে বলে তাদের কাছে সময় নেই, স্বামী-স্ত্রী মিলে দুজনে আদালতের সময় নষ্ট করছে। তারপর সবাই মিলে অনুরোধ করার পর আবার শুরু হয় শুনানি।
দীপা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলে, আজ আমি এমন একজনকে সামনে আনছি, যার মার্ডার কেস নিয়ে আমরা লড়ছি। তারপর দেখা যায় সকলের সামনে উপস্থিত হয় মিশকা। মিশকা কাঠগড়ায় উঠে সবটা স্বীকার করে। তার মুখে পাগলামির হাসি। সে একেবারে মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে। আর মিশকার এমন হাল দেখে দর্শক কিছুটা কষ্টও পেয়েছেন মিশকার জন্য।