Anurager Chowa : স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ আবারও জমে উঠেছে। ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে আসছে কিছু না জানা সত্য। অর্জুন এতদিনে তার মায়ের পরিচয় জানতে পেরেছে। কিন্তু পৃথা যে একজন জঘন্য মা তা সে প্রমান করেই দিয়েছে। পৃথা এতদিন অর্জুনের কাছে পৌঁছতে ভিক্টরকে ব্যবহার করছিল। আর যেই অর্জুনকে সে নিজের পরিচয় জানিয়ে দিয়েছে।
তখনই ভিক্টরকে ভুলতেও পিছপা হয়নি সে। নিজেই তিস্তাকে অত্যাচার করার অপরাধে ভিক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পৃথা। এদিকে, ভিক্টরের সাথে দেখা করতে জেলে এলে ভিক্টর তাকে ছাড়াতে বলে। কিন্তু পৃথা তাকে ছাড়ানো তো দূর, আরও বলে, ভিক্টর মুখ খুললে সে নিজে তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে।
পৃথার এমন শাসানিতে ভিক্টর বুঝে যায় তার মা কতটা ভয়ঙ্কর নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে। এইটা কিছুতেই সহ্য করতে পারেনা ভিক্টর। মায়ের থেকে বিশ্বাসঘাতকতা সে আশা করেনি। ভেবেছিল মা তাকে বাঁচিয়ে নেবে। এদিকে, পৃথা অর্জুন আর তার মেয়েকে নিজের কান্না দিয়ে ভোলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অর্জুন তাকে মা বলে মেনে নিতে নারাজ।
আরও পড়ুনঃ পৃথা নয় অপর্ণা অর্জুনের আসল মা, সত্যিটা সামনে আনলেন ‘খোকা’! ফাঁস ধুন্ধুমার পর্ব
সবটা বিস্তারিত না জানলেও অর্জুনের মাকে নিয়ে ছোটবেলায় যন্ত্রণার স্মৃতি গুলো মনে পরে যায়। তাই অর্জুন এক কথায় পৃথাকে মা হিসাবে মেনে নিতে রাজি হয়নি। এদিকে, খোকা পৃথার আসল সত্যিটা অর্জুনকে জানিয়ে দেয় সোজাসুজি। যার ফলে অর্জুন আরও রেগে যায় আর তাকে চলে যেতে বলে। পৃথা চলে যায় তবে সে হাল ছাড়বেনা বলে যায়।
ওদিকে, ভিক্টর মায়ের কাছ থেকে এই আঘাত সহ্য করতে না পেরে এক চরম দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে। ভিক্টর জেলে আত্মহত্যা করে বসে। তিস্তা অর্জুনের বাড়িতে থাকায় থানা থেকে সেই খবর তিস্তার কাছে পৌঁছানো হয়। তবে কি ভিক্টর মরে যাবে? এখন এই প্রশ্নই দর্শকমনে। যার উত্তর আগামী পর্বগুলো থেকেই জানা যাবে।