সাফল্য তাঁর শিখরে, খ্যাতি তাঁর জগৎজোড়া। তাই বলে যে মাটিতে তাঁর পা পড়েনা এমনটা কিন্তু নয়! তিনি একেবারে মাটির মানুষ। জগৎজোড়া খ্যাতি যার, সেই ব্যক্তি যে একেবারে মানুষ, এরকম ব্যক্তিত্ব লাখে একটা পাওয়া যায়। এতরকম বৈশিষ্ট্য যার দিলাম, বুঝতেই পারছেন তিনি কে? সকলের কাছের মানুষ মনের মানুষ বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)।
তাঁর গান মানুষ সুখে, দুঃখে, আবেগে সব সময় শোনেন। সেলিব্রেটি হলে কি হবে, নেই বিন্দুমাত্র অহংকার। খুব সাধারণ ভাবেই জীবনযাপনে অভ্যস্ত। অনেক সেলিব্রেটি থাকেন বড় বড় বাড়িতে, কিন্তু তিনি এমনই একজন মানুষ, যিনি থাকেন নিজের জন্ম ভিটেতে। তাঁকে ছুঁতে পারেনি, আকাশছোঁয়া বড় বাড়ি। কাজের সূত্রে মুম্বাই এ থাকেন ঠিকই, কিন্তু ছুটি পেলেই চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে।
এমনকি ছেলেকেও ভর্তি করেছেন সেই গ্রামেরই স্কুলে। শুধু তাই নয়, নিজের গ্রামের উন্নতির জন্য একটা স্পোকেন ইংলিশের স্কুল খুলেছেন। যাতে সবাই ভালোভাবে ইংরেজি শিখতে পারে। নিজের গ্রামকে শিক্ষিত করতেই এমন উদ্যোগ তাঁর। তাঁর এই স্কুলে ধনী-গরিবের ভেদাভেদ নেই, বরং সকলেই সমান।
সম্প্রতি তিনি আরও একটি উদ্যোগ নিয়েছেন নিজের গ্রামের জন্য। সাধারণ মানুষের জন্য খুলে ফেললেন একটি রেঁস্তোরা। যেখানে খুব কম টাকায় খাবার পাওয়া যাবে। রেঁস্তোরা শুনেই ভাবছেন কোনো পাঁচতারা হোটেল। না এমনটা নয়, এখানে মাত্র ৩০ টাকাতেই পাওয়া যাবে খাবার।
জিয়াগঞ্জে অবস্তিত ‘হেঁশেল’ (Heshel) নামের হোটেলটি অরিজিৎ সিং এর বাবা চালাতেন। কিন্তু পরবর্তীতে এই হোটেলের দায়িত্ব নিয়েছেন, স্বয়ং অরিজিৎ সিং নিজেই। হোটেলটি বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ হলেও, হোটেলের ভিতরে রয়েছে একাধিক কাঁচের টেবিল ও কাঠের চেয়ার। এখানে ভাতের থালির দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে । এছাড়াও পাওয়া যাবে, চিকেন, মাটন, পনিরের নানান খাবার। শুধু থালি নয়, মিলবে তন্দুরি, টিক্কা ও কাবাবও। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা মাটির মানুষ তিনি।