মিথ্যা কখনো চাপা থাকেনা, তাই যে যতই শয়তানি করুক না কেন, তাদের শয়তানি কখনোই সাকসেস পায় না। আর তাই তারা যখনই হেরে যায়, তখনই তারা নতুন পন্থা খুঁজতে আরম্ভ করে। এই সমস্ত মানুষকে আমরা দেখি টিভির পর্দায়। প্রত্যেকটি সিরিয়ালে একটা দুটো শয়তান থাকেই। তারা সবসময় ফন্দি করে কীভাবে নায়ক বা নায়িকাকে বিপদে ফেলা যায়। যেমন বর্তমানে পর্ণার (Parna) বড় শত্রু তিন্নি আর বটব্যাল
তেমনই জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) তেও দেখা গেছে এমনটা। বর্তমানে ধারাবাহিকের খল চরিত্র হচ্ছে তিন্নি। তিন্নির সাথে যুক্ত হয়েছে বটু সোনা। দুজনেই একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে পর্ণার জীবনে আগুন লাগাতে। প্রথমটা সফল হয়নি, বটু সোনাকে জেলে পাঠিয়েছিল পর্ণা। কিন্তু বটু সোনা এখন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গেছে।
আর তাই প্রতিশোধের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বর্তমান পর্বে দেখা যাচ্ছে, শাড়ির ব্যবসাকে জনপ্রিয় করে তুলতে এবং ব্যবসার উন্নতি সাধনে নতুন পরিকল্পনা করে পর্ণা (Parna)। বাড়ির মা-কাকিমাদের নিয়ে একটা ফ্যাশন শোয়ের অনুষ্ঠান করে। এই ফ্যাশন শোয়ে জল ঢালতে চেয়েছিল তিন্নি। কিন্তু সেই কার্য সফল হয়নি। বেশ ভালোভাবেই মিটেছিল অনুষ্ঠান। আর তাই নতুন পরিকল্পনা করে তিন্নি।
এই পরিকল্পনায় তার সহযোগী হয়েছে বটু সোনা। সম্প্রতি একটি প্রোমো প্রকাশ হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, তিন্নির মাসি সেজে এসেছে বটু সোনা। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, আবারও বটু সোনাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় পর্ণা। কিন্তু সে জানায়, ‘সুপ্রকাশ বটব্যালকে আটকে রাখতে পারে এরকম জেল এখনও তৈরি হয়নি। আমি ফিরে আসব’।
এরপর টিভিতে পর্ণা (Parna) দেখে, পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে সুপ্রকাশ। আর পালিয়ে গিয়ে দত্ত বাড়িতে হাজির হয়। তিন্নির ফুল মাসি সেজে। তিন্নি জানিয়ে দেয়, এই মাসি কয়েকদিন এই বাড়িতে থাকবে। আবার কোন নতুন বিপদ পর্ণার জন্য অপেক্ষা করছে সেটাই দেখার। সেই বিপদের মোকাবিলা পর্ণা কি করতে পারবে? তার উত্তর মিলবে আগামী পর্ব গুলিতে।