স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela) নাকি মাত্র ৫ মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই সংবাদে সকলেই বিমর্ষিত হয়েছিল। কিন্তু যখন শোনা গেল, মেয়েবেলা শেষ হচ্ছেনা, তখনই উচ্ছসিত হলেন অনুরাগীরা। শুধু মেয়েবেলার অস্তিত্ব সংকটে খুশি হয়েছেন এমনটা নয়, মেয়েবেলার বীথি চরিত্রের আমূল পরিবর্তন দেখেও খুশি হচ্ছেন অনুরাগীরা। ধারাবাহিকে এসে গেছে অনেক রকম টুইস্ট।
বীথির পজিটিভ সত্তা আর চাঁদনীর নেগেটিভ সত্তা প্রকাশ পাচ্ছে সাম্প্রতিক কাহিনীতে। ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা জানেন, মৌ পারিবারিক কারণে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে, বীথি তাঁকে যেতে দেয়না। তাই মৌ বাড়ি ছেড়ে চলে যায়নি, তবে সে বীথিদের সাথে নেই, সে রয়েছে একতলায়। একতলায় থাকা নিয়ে মৌ-ডোডো-বীথি কেউই ভালো নেই। ডোডো মৌকে নিয়ে চিন্তিত।
কারণ মশাইয়ের কাছে থাকা মানেই সেই অত্যাচারিত জীবন। তাই মনে মনে মৌকে প্রশ্ন করে কেন সে এমন জীবন বেছে নিল। বীথিও মৌয়ের অভাব অনুভব করছে । একদিন এই বীথিই মৌকে তাড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল, আজ যখন সে চলে গেছে, তখন বীথি মৌয়ের অভাব অনুভব করছে। মৌয়ের কথা ভাবতে ভাবতে তাঁর কোনো কাজে মন বসছেনা। এমনকি মৌ বাড়িতে নেই, তা সত্ত্বেও তাঁর জন্য খাবার বেড়ে ফেলে মনের ভুলে।
অন্যদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগায় চাঁদনী। ডোডোর অবস্থা শুনে ডোডোর কাছে হাজির হয়। ডোডো যেতে চায়না, ডোডোকে প্রায় জোর করেই বাইরে নিয়ে যায়। চাঁদনী যখন মৌকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে যায়, ডোডো তাকে বলতে দেয়না, চাঁদনীকে কথা শোনায়। মৌয়ের ব্যাপারে কোনো খারাপ কথা শুনতে নারাজ সে।
এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, মৌয়ের প্রতি সে খুবই দূর্বল হয়ে পড়েছে। ডোডোর মনে এখন শুধুমাত্র মৌ বিরাজমান। তাঁর মনে জায়গা নেই চাঁদনীর জন্য। এভাবেই দুজনে কাছাকাছি ফিরবে। কিন্তু চাঁদনী তাদের সম্পর্ককে হয়ত ঠিক থাকতে দেবেনা, তাই সে নতুন পরিকল্পনা করছে। চাঁদনী কি পারবে দুজনের সম্পর্ক ভাঙতে, দেখাই যাক কি হয়।