একটা ধারাবাহিকে একসাথে অভিনয় করতে ধারাবাহিকের সমস্ত মানুষ গুলো একে অন্যের কাছের মানুষ হয়ে যায়। আমরা টিভির পর্দায় একটা ধারাবাহিকের নির্দিষ্ট ফ্যামিলি দেখি, সেটা বাস্তবেও পূর্ণতা পায়। কলাকুশলীরা একে অন্যের সাথে অভিনয় করতে করতে বাস্তবেও সেরকম একে অন্যের কাছের হয়ে ওঠে। মানুষ অভ্যেসের দাস, আর তাই তো সবার সাথে থাকতে একটা পরিবারে পরিণত হয়।
আর তেমনই ঘটল দিব্যজ্যোতি দত্তের (Dibyajyoti Dutta) জীবনে। চিনলেন না তো। আচ্ছা পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক। স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। এখন টিআরপি তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে এই ধারাবাহিকের নাম। সবাই কে পিছনে ফেলে প্রথমে জায়গা করে নিয়েছে ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকের দুই ক্ষুদে সোনা-রূপা দিবজ্যোতির খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠেছে।
এই ধারাবাহিকে দিব্যজ্যোতি অভিনয় করছেন সূর্যের ভূমিকায়। ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী দীপা আর সূর্যের দুই মেয়ে সোনা আর রূপা। রূপা থাকে দীপার কাছে, সোনা থাকে সূর্যের কাছে। সূর্যের আসল বয়স মাত্র ২৩। আর টিভির পর্দায় তিনি বাবা হয়ে গিয়েছেন। বাস্তবে তাঁর মেয়েদের বয়সও খুব ছোটো। ৯-১০ বছর বয়স হবে।
পর্দায় বাবার সাথে মেয়ের সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত তা দেখানো হয়। খুব সুন্দর কাছের মিষ্টি একটা সম্পর্ক। বাস্তবেও তাঁর সাথে সোনা- রূপার সম্পর্ক সত্যিই সুন্দর। দিব্যজ্যোতি তাদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘ওরা আমাকে দিব্য নামেই ডাকে। আবার কখনো ডাকে সূর্য বলে। আমায় দেখলেই ওঁরা কোলে উঠে পড়ে, বাইসেপস ধরে ঝোলে। আমাকে দাঁড়াতে বলে গা বেয়ে উঠে পড়ে’।
বোঝায় যাচ্ছে বেশ সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে ওদের মধ্যে। এক,সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভবিষ্যতে বাবার দায়িত্ব পালনে তাহলে কোনো অসুবিধা নেই? এবিষয়ে তিনি জানান, ‘বিয়ের এখনও ঢের দেরি তবে ভবিষ্যতে ভাল বাবা হব কিনা জানিনা। তবে আমি চাই ভালো মানুষ হতে’।