মৌয়ের সন্মান রক্ষায় পাশে দাঁড়ালো ডোডো! নির্ঝরের মনোভাবে মুগ্ধ দর্শক

স্টার জলসার সম্প্র্রতি শুরু হওয়া একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’। এই গল্পের ট্যাগলাইন ছিল মেয়েরাই কি মেয়েদের শত্রু হয়। আসলে এই গল্পটি সমাজের একটা খুবই যত্নশীল

Nandini

in meyebela dodo stand for mou once again

স্টার জলসার সম্প্র্রতি শুরু হওয়া একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’। এই গল্পের ট্যাগলাইন ছিল মেয়েরাই কি মেয়েদের শত্রু হয়। আসলে এই গল্পটি সমাজের একটা খুবই যত্নশীল বিষয়ের উপর গড়ে তোলা হয়েছে। একটা মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে তার পরিবারকে নতুন করে খুঁজতে শুরু করে কিন্তু তার আশেপাশের বাকি সম্পর্ক গুলো সবাই ভালো হয়না, কিংবা বলা ভালো ভালো হতে চায়না।

তার কারণও কিন্তু অনেকটা গভীর। সংসারের তল খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। অভিজ্ঞ গুনীজনেরা এমটাই বলেন। সংসারে প্রতি নারীর ও পুরুষের মধ্যেই একটা গল্প লুকিয়ে থাকে। না পাওয়ার গল্প। তবে সেই সুপ্ত গল্পের ভারে একসময় সম্পর্কের মিষ্টতা চলে যায় আর ভরে ওঠে তিক্ততা। একজন নারী যেমন সংসার বাঁধতে পারেন তেমনই ভাঙতেও পারেন।

dodo stand for mou once again in meyebela

মেয়েবেলা ধারাবাহিকেও প্রতিটি নারী চরিত্রকে খুব সুন্দর করে রূপ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের জীবনে আছে একটা ভিন্ন গল্প। একটা সুপ্ত না পাওয়া। সম্প্রতি, ধারাবাহিকে মৌ অর্থাৎ মোহনা ও নির্ঝরের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ বারো বছরের ভালোবাসার মানুষকে ভুলে অন্য একজনকে জীবনসোজি হিসাবে মেনে নেওয়ার কষ্টটা নির্ঝর চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেতার অভিনয়ে খুব সুন্দর ফুটে উঠেছে।

যা দর্শককে ভিতর থেকে নাড়া দিয়েছে। আর অন্যদিকে মৌ। যার জীবনে রয়েছে একটা কালো অতীত। যে অতীত সম্পর্কে সে জানাতে চাইলেও সেই অতীতের নাগাল এখনও পায়নি ডোডো। একপ্রকার ছলনা ও মিথ্যে দিয়েই দুজনের অজান্তে গড়ে উঠলো মৌ ডোডোর সংসার। তবে ডোডো এতো সহজে চাঁদনীকে ভুলে যায়নি। আবার মৌকেও তার সন্মান সে ঠিক দিয়েছে।

আর এখানেই বাকি পাঁচটা সিরিয়ালের থেকে আলাদা মেয়েবেলা। একদিন প্রথম বিয়ে হয়ে আসার পর ডোডোর মা কলেজে নিজের পড়াশুনা শেষ করতে চাওয়ায় তার ঠাকুমা একেবারে মানা করে দিয়েছিলেন সেদিন বীথির পাশে দাঁড়ায়নি তার স্বামী। কিন্তু মৌকে তার পড়াশুনা বন্ধ করতে দেয়নি ডোডো। প্রথমেই সকলকে সে জানিয়ে দিয়েছে মৌ কলেজ যাবে।

সেদিন গোপনে লুকিয়ে থাকা বীথির সে না পি[যাওয়ার কথাটা একবার অচিরেই মনে পরে গিয়েছিল। এবারেও ফুলশয্যার আগে নিয়ম অনুযায়ী, মৌকে বলা হয়েছিল ডোডোর পা জল দিয়ে ধুয়ে মাথার চুল দিয়ে মুছিয়ে দিতে। কিন্তু ডোডো তা সমর্থন করেনি। সে মৌয়ের সন্মান রক্ষায় কোনো ত্রুটি রাখেনি। এভাবেই ধীরে ধীরে কবে কাছে আসবে তারা সেই অপেক্ষায় আছেন দর্শক।

× close ad