আর একটি দিন পেরোলেই পুজো শুরু। ইতিমধ্যে পুজোর আয়োজন প্রায় সব জায়গাতেই সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতায় পুজো প্যান্ডেল হপিংয়ের ঢল নেমে গেছে। পুজো তো এসেই গেল। সারাবছর সকল মানুষ এই পুজোর অপেক্ষায় দিন গোনেন। মাসের পর মাস পুজোর এই চারটে দিনের অধীর অপেক্ষা থাকে মানুষের মনে। পুজোকে ঘিরে প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা আবেগ কাজ করে।
তবে এবারের পুজোটা মাটি করতে আসছে বৃষ্টি। বৃষ্টির চোখ রাঙানি পুজোর মধ্যেই। যদিও অনেকদিন আগেই আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল পুজোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এবারে তা একপ্রকার সুনিশ্চিত করা হল আবহাওয়া দপ্তরের (Weather Department) তরফে। কোথাও চতুর্থী থেকে আবার কোথাও ষষ্ঠী থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে বা যাবে।
উত্তর – পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এক ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হচ্ছে যার জেরেই এই বৃষ্টি আছড়ে পর্বে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। পুজোর আগে চরম অস্বস্তিতে ভুগতে হবে মানুষকে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে গুমোট আবহাওয়ার সৃষ্টি হবে। এই অস্বস্থি শনিবার চরম থাকবে। শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এমনকি এও জানানো হয়েছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ঘূর্নাবত ছাড়াও পশ্চিম মধ্য বঙ্গপোসাগরেও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুনঃ শুধু দুর্গাপুজো নয় কালী পুজোতেও বৃষ্টি! পুজোর আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া দপ্তর
এই দুই ঘূর্ণাবত একসাথে হয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা দিচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ওড়িশা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানানো হয়েছে। আর রবি ও সোমবার গঙ্গা উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের জেলাগুলিতে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। দক্ষিণ 24 পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুজোর বাকি দিনগুলোতেও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সকাল থেকে দুপুর বা বিকেল পর্যন্ত আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়তে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। দশমীর দিন কোথাও কোথাও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।