ধারাবাহিক প্রেমী মানুষদের কাছে একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘গাঁটছড়া’ (Gaatchora)। শুরু থেকেই দর্শকদের মনে বেশ জায়গা করে নিয়েছে। এই ধারাবাহিকের ধাম শোনেননি, কিংবা এই ধারাবাহিক দেখেননি, এমন মানুষ খুবই কম আছে। সকলেই এই ধারাবাহিক দেখেন। গাঁটছড়ার নায়ক-নায়িকা অর্থাৎ খড়ি-ঋদ্ধি জুটি ছাড়াও অনান্য সব চরিত্রই দর্শকদের বেশ কাছের।
তবে সিংহ রায় পরিবারে সুখের পিছনেই ছুটে ছুটে আসে দুঃখ। যখন সব ঠিক ঠাক, মান – অভিমান ভুলে সবাই যখন কাছাকাছি, বনি-কুনালের সম্পর্কটাও আঠালো হচ্ছে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রাহুল একটু ভালো হয়েছে, ভট্টাচার্যের বাড়ি এবং সিংহ রায় পরিবার মিলেমিশে রয়েছে, ঠিক তখনই এসে হাজির নতুন বিপদ। তাদের নতুন শত্রু ডি, এসে উপস্থিত।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, সিংহ রায় বাড়ি এখন মেতে উঠেছে, কুলদেবী জগদ্ধাত্রীর বন্দনা করতে। কিন্তু খড়ি যাতে মূর্তি তৈরি করতে না পারে, তার জন্য ডি এর সাথে পিশেমশাই পরামর্শ করে খড়িকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়। কিন্তু খড়ি ঘুম ঘুম চোখে দেখতে পায় রাতের অন্ধকারে সেই মূর্তি বানাচ্ছে তার জেঠু। সকালে উঠে খড়ি দেখে অবিকল মায়ের মূর্তি বানানো হয়েছে। যা দেখে সকলেই অবাক, সাথে খড়িও।
আরও পড়ুনঃ পূর্ণার হাত ধরে ভাষা বদলাচ্ছে ‘খড়িদ্ধি’র রসায়নের! নতুন রূপে ‘গাঁটছড়া’, রইল বিস্তারিত
এরপরই খড়ি বুঝে যায়, জেঠু বেঁচে আছে। সে সিংহরায় পরিবারের আদি বাড়ির কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। তাই এবার জেঠু কে খুঁজে বার করে আনবে সে। এরই মাঝে সামনে এসেছে একটি নতুন ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, বয়স্ক দম্পতির সাজে খড়ি-ঋদ্ধি। সিংহরায়দের আদি বাড়ির নিষিদ্ধ স্থানে উপস্থিত হয়েছেন।
কিন্তু দারোয়ান জানান, এভাবে এখানে থাকতে দেওয়া যায়না, এক্ষুনি আমাদের মালিকের গাড়ি ঢুকবে। মালিকের নির্দেশ আছে, এখানে যেন কেউ না ঢুকতে পারে। আপনাদের ঢুকতে দিলে আমাদের চাকরিটা যাবে। যান এখান থেকে। এখানে মালিক হচ্ছে মিস্টার ডি। মিস্টার ডি এর কড়া পাহারা থাকার সত্ত্বেও কীভাবে ঋদ্ধিমান আর খড়ি ঢুকতে পারে সেটাই দেখার।