বর্তমানে বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম ধারাবাহিক। প্রতিদিন সময় করে ধারাবাহিক প্রেমীরা টেলিভিশনের সামনে প্রিয় সিরিয়ালটি দেখার জন্য বসে পড়েন। ধারাবাহিকের গল্পের সাথে সাথে দর্শক ধারাবাহিকে অভিনয়কারী চরিত্রদেরকেও ভীষণ পছন্দ করেন। প্রতিটি চরিত্র নিজের অসাধারণ অভিনয় দিয়ে পর্দার চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলেন। তাদের জন্যই ধারাবাহিক প্রাণ পায়। এমনই একজন অভিনেতা হলেন রতন সার্খেল (Ratan Sarkhel)।
অভিনেতা রতন সার্খেল (Ratan Sarkhel) একজন দক্ষ অভিনেতা। এই পর্যন্ত অনেক ধারাবাহিকে তাকে ভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে। এই অভিনেতা নিজের অভিনয় দ্বারা দর্শকের মনে আলাদা জায়গা তৈরী করে নিয়েছেন। বর্তমানে এই অভিনেতা ষ্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’য় অভিনয় করছেন। গাঁটছড়া ধারাবাহিকে নায়িকার বাবার চরিত্রে আমরা অভিনেতাকে পর্দায় দেখতে পাই।
ছাপোষা সাধারণ মানুষ হোক বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি সব ধরণের চরিত্রেই তার সাবলীল অভিনয় নজরকাড়া। খড়ির বাবা হিসাবে একজন সাধারণ দশকর্ম ভান্ডার চালানো তিন মেয়ের বাবার জীবন পর্দায় অভিনয় দিয়ে তিনি সুনিপুন ফুটিয়ে তুলেছেন। সম্প্রতি এই অভিনেতার একটি পুরোনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। যা দেখে দর্শক বেশ উপভোগ করছেন।
আসলে এর আগে একবার এই অভিনেতা দাদাগিরির মঞ্চে এসেছিলেন আর সেই মঞ্চে তার এমন এক অজানা তথ্য তিনি দাদা সৌরভ গাঙ্গুলিকে জানান যা শুনে হাসি থামে না খোদ সৌরভ গাঙ্গুলিরও। অভিনেতার ওই ভিডিওয় জানা যাচ্ছে তিনি বলছেন তিনি নাকি মাছ কিনতে বাজারে যান চেকবই হাতে করে। হ্যাঁ, একথা সত্যিই হাস্যকর। মাছ কিনতে বাজারে যে কেউ চেকবই হাতে করে যেতে পারেন এটা বোধহয় বিরল।
অভিনেতার একথা যে সত্য তা মঞ্চে উপস্থিত অভিনেতার সোহো অভিনেতা অভিনেত্রীরাও জানিয়েছেন। তবে সৌরভ গাঙ্গুলি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন এমন কাজের কারণটা ঠিক কি? তখন অভিনেতা জবাব দেন তিনি একটা বড়ো পরিবারে বাস করেন। তার পরিবারে সব সদস্য মিলিয়ে মোটামুটি ২৫ জন মতো একসাথে থাকেন।
আর বাজারে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা বাজার লাগে। এছাড়াও কখনো কখনো তিনি রকসাথে একটু বেশি পরিমানেই বাজার করেন বা মাছ কিনে থাকেন। যেমন, কখনও ইচ্ছা হলে একসাথে ৬০০০ টাকার ইলিশ মাছ কিনে নেন। অটো টাকা সাথে না থাকলে বাজার বিক্রেতা বা মাছ বিক্রেতা তাকে বিশ্বাস করে দিয়ে দেন কিন্তু অভিনেতা চেক সঙ্গে করেই ঘোরেন তাই তাদের চেক কেটে টাকা মিটিয়ে দেন। খুব অস্বাভাবিক না হলেও এই গল্প সত্যিই হাসি পাওয়ার মতো।