প্রায় সকলেই ছোটোবেলায় ‘গোপাল ভাঁড়’ (Gopal Bhar) পড়ে বড় হয়েছে। গোপাল ভাঁড়ের কার্টুন দেখে বড় হয়েছে। কিন্তু আধুনিক দিনে বাচ্চারা এত সোশ্যাল মিডিয়ায় আকৃষ্ট এছাড়াও অন্য কিছুতে আকৃষ্ট তাদের এই গোপাল ভাঁড় পড়ার সময় নেই যেমন গোপাল ভাঁড়ের কার্টুন দেখারও সময় নেই। তাই তো গোপাল ভাঁড়ের জীবনের কাহিনীকে সকলের সামনে তুলে ধরতে স্টার জলসা নিল নয়া উদ্যোগ। গোপাল ভাঁড়ের কাহিনীকে ধারাবাহিকে রূপান্তরিত করল।
মানুষ সমান আগ্রহী হয়ে এই ধারাবাহিক আত্মস্থ করল। হয়ে উঠল স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গোপাল ভাঁড়। শুধু তো ধারাবাহিক সৃষ্টি করলেই হয় না, উপযুক্ত প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস দরকার। প্রথমত দরকার ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঠিকঠাক উপযুক্ত চরিত্রের। প্রথমেই দরকার গোপাল ভাঁড়ের চরিত্রের। গোপাল ভাঁড়ের চরিত্রে যে অভিনয় করেছিল, গোলুমলু ছোটো বাচ্চা। রক্তিম সামন্ত (Raktim Samanta)।
স্টার জলসা ঠিকঠাক উপযুক্ত চরিত্রই পেয়েছে। এই ছোট্ট ছেলেটি অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছে। অনেকেই জানেন না এর আসল পরিচয়। আজকের প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হল। খুব অল্প বয়স থেকেই তাঁর অভিনয় জীবনের হাতে খড়ি হয়েছে। শুরুটা হয়েছিল জি বাংলার রিয়েলিটি শো ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চ থেকে।
এরপর একে একে কাজ করে রচনা বন্দোপাধ্যায়ের ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’, সৌরভ গাঙ্গুলীর ‘দাদাগিরি’তে। সব কিছু করলেও তাঁর টার্নিং পয়েন্ট এই গোপাল ভাঁড়। এখানে অভিনয় করেই বদলে যায় ভাগ্যচক্র। এরপর দেখা গিয়েছিল স্টার জলসার ‘রান্নাবান্না’ তে অপরাজিতা আঢ্যর সাথে। শিশু অভিনেতা গোপাল ভাঁড়ের মতোই খুব খেতে ভালোবাসে। বিরিয়ানি সবথেকে প্রিয় খাবার। আর তাই দেখা মিলেছিল এখানে।
এরপর দেখা মিলেছিল ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ ধারাবাহিকে। সম্প্রতি তাঁর দেখা মিলেছে ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং আবির চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘ফাটাফাটি’ সিনেমায়। জানা যায় রক্তিমের বাড়ি উত্তরপাড়ায়। ওখান থেকে কলকাতায় দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন। বাড়িতে টিভি থাকলেও কেবল ছিলনা। তাই সেভাবে টিভি দেখতে পারেনি। তাই বলে অভিনয় ভালো পারবেনা এমনটা নয়। অভিনয়েও সে বেশ দক্ষ।