জী বাংলার অন্যতম ধারাবাহিক গৌরী এল (Gouri Elo)। এই ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল এক গ্রামের সরল মেয়ে যে ভগবানে প্রবল বিশ্বাসী আর একজন ডাক্তার যিনি ভগবানে কোনো বিশ্বাস রাখেননা। এই দুই মেরুর ভিন্ন কাহিনী নিয়ে এই ধারাবাহিকটি শুরু হয়। তবে গল্পের খাতিরে গৌরী ও ঈশানের বেশ কয়েকবার দেখা হয়। আর গৌরিকে ভুল হাতে পড়া থেকে বাঁচাতে ঈশান তাকে বিয়ে করে।
তবে সম্প্রতি এই ধারাবাহিক গৌরী এল (Gouri Elo) তে চলছে বড়সড় ট্র্যাক। ঈশান (Ishan) ও গৌরির (Gouri) গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পরে। ঈশানের গাড়ির সাথে একটা লরির মুখোমুখি সংঘাত হয় আর তাতেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। আর এই দুর্ঘটনার পর ঈশানের বাড়িতে একপ্রকার তাদের মরার খবর পৌঁছে যায়। সকলে খবর পায় গৌরী ও ঈশান দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
উড়ন্ত হরিতকী (Flying Haritaki)
তবে গৌরির মাথায় তার বড়মায়ের হাত। তাকে এতো সহজে মেরে ফেলা যায় নাকি। গৌরির এই বিপদে সকলে বড়ো মায়ের চোখে জল দেখতে পেলো। গৌরির মা বড়ো মার কাছে নিজের মেয়ের মঙ্গল কামনায় যে করুন আর্তি জানাচ্ছিলেন তাতে বড়োমা সারা দিয়েছেন। বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে গৌরীর জ্ঞান ফিরেছে একটি হরিতকীর ছোঁয়ায়।
তবে গৌরী জ্ঞান ফেরার পর ভেবে পায় না যে কিকরে তার কাছে এই হরিতকি এলো ? তাদের আশেপাশে তো কোনো হরিতকি গাছ নেই। আর হরিতকী হাতে নিতেই গৌরী আবার বলে এ তো সেই গাছের হরিতকি যা গৌরী নিজে হাতে তার বড়ো মায়ের মন্দিরের কাছে লাগিয়েছিল।
ঘটনা খুবই কাকতালীয় হলেও এখন ধারাবাহিকে গৌরির জ্ঞান ফায়ার এলেও জ্ঞান ফেরেনি এখনো ঈশানের। গৌরী তার পাওয়া হরিতকী মায়ের আশীর্বাদ স্বরূপ মনে করে বারংবার ঈশানের মাথায় বুকে চোঁয়াচ্ছে আর তার ডাক্তারবাবুকে ডাকছে। কিন্তু তার জ্ঞান এখনো ফেরেনি। তবে কি বড়মা ঈশানের জ্ঞান ফেরাবেননা। তাদের পথ কি এখন থেকে নতুন মোড় নেবে ? জানতে হলে দেখতে থাকুন গৌরী এলো।