Horogouri Pice Hotel : সন্ধ্যা হলে বাংলা সিরিয়াল দেখেন না এমন মানুষ খুবই কম আছেন। এখন প্রায় সকলেই সিরিয়ালের ভক্ত। এই সিরিয়াল প্রেমী মানুষদের কাছে অত্যন্ত কাছের একটি ধারাবাহিক হল স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ (Horogouri Pice Hotel)। এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রের নাম শংকর এবং ঐশানী। শংকরের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা রাহুল মজুমদার আর ঐশানী চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শুভস্মিতা মুখার্জি।
প্রথম থেকেই ঐশানী চরিত্রটি দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে । ধারাবাহিকের কাহিনী গড়ে উঠেছে, একটি একান্নবর্তী পরিবারের গল্প নিয়ে। সেই পরিবারের বউ ঐশানী। যখন সে এই পরিবারে বউ হয়ে আসে, তখন একেবারে নাকানি চোবানি খায়। কারণ সে যে পরিবার থেকে এসেছে, সেই পরিবারে মধ্যবিত্ত ধ্যানধারণা ছিলনা। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে মধ্যবিত্ত পরিবারেই প্রবেশ করে।
এখন আর সে আগের মতো নেই। সময় বদলেছে, ঐশানী ধীরে ধীরে শংকরের পরিবারকে নিজের পরিবার করে কাছে টেনে নিয়েছে। এখন সে শুধু বাড়ির বউ নয়, একদিকে সে হোটেলের শেফ, আর একদিকে সে পুলিশ। ঐশানীর এই সর্ব গুণ সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব দেখে অনেকেরই ঈর্ষা হয়। সবথেকে বেশি ঈর্ষা হয় এই ধারাবাহিকের খলনায়ক প্রভাকরের।
এই প্রভাকরের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সে বিজয়া দশমীর দিন ঐশানীর ক্ষতি করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। বাড়িতে পুজো হচ্ছে, সবাই পুজোর কাজে ব্যস্ত, কিন্তু প্রভাকর প্রভাকরের কাজে ব্যস্ত। সে ফোন করে তাপসকে তৈরী থাকতে বলে। তাপস পিস্তল নিয়ে রেডি হয় ঐশানীকে শেষ করার জন্য।
বিজয়া দশমীর দিন সবাই বিসর্জনে মত্ত। আর ঠিক সেই সময়, ঐশানীর কাছে একটি ফোন আসে, সেই ফোনে তাকে বলা হয়, পাশের গলিতে আসতে। ঐশানী সেখানে পৌঁছানোর সময়, একটা গাড়ি তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তারপর গাড়ি থেকে তাপস নামে, ঐশানীর দিকে পিস্তল ধরে। ঐশানীর সাথে তাপসের মারপিট হয়, শেষপর্যন্ত গুলিটা তাপসের গায়েই লাগে। তবে তাপস মরে যাবে কিনা তা আগামী পর্বেই জানা যাবে।