বর্তমানে ধারাবাহিক মানেই টিআরপির (TRP) লড়াই। সপ্তাহান্তে কোন ধারাবাহিক কত টিআরপি পাচ্ছে সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ টিআরপি থাকলে তবেই একটা ধারাবাহিক দীর্ঘদিন চলবে। নাহলে যেনতেন প্রকারে তাকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে টিআরপির কারণে বেশ অনেক গুলি সিরিয়াল বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটা খানিকটা অসম্পূর্ণ ভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কেন একটা পয়েন্ট ধারাবাহিকের মেয়াদ নির্ধারণ করে জানেন? এই টিআরপি আসলে কি? কিভাবে গণনা হয় টিআরপি? টিআরপি অর্থাৎ টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট। যে টেলিভিশন চ্যানেলের টিআরপি বেশি সেই চ্যানেলের বিজ্ঞাপনের দামও বেশি হয়। অর্থাৎ চ্যানেলের টিআরপি বেশি থাকলে তার মানে মানুষ সেই চ্যানেল বেশি দেখেন আর সেই চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চালালে বিজ্ঞাপন বেশিবার দেখানো হবে আর তা বেশি মানুষের কাছে যাবে।
এই কারণে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে বেশ ভালো টাকা দিতে হয় চ্যানেলকে তাদের বিজ্ঞাপন দরুন। প্রতি সেকেন্ড হিসাবে চার্জ ধার্য করা থাকে। আর তাই টিআরপি টা চ্যানেলের জন্য খুব প্রয়োজন। টিআরপি না থাকলে সেই ধারাবাহিক রেখে চ্যানেলের কোনো লাভ হয়না। তাই একসময় বন্ধ করে দেয়।
টিআরপি প্রতি সপ্তাহে কাউন্ট হয় বি এ আর সি (BARC) সংস্থার তরফে। এর সংস্থার সম্পূর্ণ নাম হল ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল। এই সংস্থা রেটিং নির্ধারণের জন্য বিশেষ এক যন্ত্র ব্যবহার করে থাকে। যে যন্ত্র দ্বারা দর্শক কতক্ষন কোন প্রোগ্রামটা দেখছেন সেটা বোঝা যায়। শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়ে টেলিভিশনের পর্দাতে চোখ রাখলে তবেই তা রেটিংয়ে কাউন্ট হয়। টেলিভিশনের পর্দার বাইরে অন্য কোনো ভাবে এই রেটিং কাউন্ট হয়না।
পিপলস মিটার নামক যন্ত্রের সাহায্যে এই রেটিং গণনা হয়। আগে এই মিটার টেলিভিশনের মধ্যেই ফিট করা থাকত। তবে বর্তমানে সেট টপ বক্সে ফিট করা থাকে। যার দ্বারা রেটিং গণনা হয়। বর্তমান গণনা অনুযায়ী খবরের চ্যানেল ‘রিপাবলিক ভারত’ ও বিনোদনের চ্যানেল ‘স্টার প্লাস’ এর জনপ্রিয়তা সব থেকে বেশি। এই দুই চ্যানেল দর্শক বেশি সময় ধরে দেখেন।
আর এই কারণেই চ্যানেলকে জনপ্রিয় করে তোলাটা কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ প্রয়োজনীয়। চ্যানেলের জনপ্রিয়তা না থাকলে বিজ্ঞাপন কমে যাবে সাথে বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জনও কমে যাবে। আর তাই একের পর এক ধারাবাহিক টিআরপির অভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চ্যানেল।