Icche Putul : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তালিকায় এখন ‘ইচ্ছে পুতুল’ কেও রাখা যায়। শুরু থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা না পেলেও রূপ চরিত্রে অভিনেতা ফাহিমের আসার পর থেকে ধারাবাহিক নতুন মোড় পেয়েছে। একদিকে যেমন নীলকে নিয়ে মেঘ আর ময়ূরীর মাঝে সুপ্ত লড়াই চলছে অন্যদিকে রূপকে ভালোবেসে অন্ধ গিনি অহংকারে বিয়ে করে ফেলেছে।
তবে বিয়ের পর থেকেই তার সব অহংকার চূর্ন হয়ে গেছে। সে বেশ বুঝতে পারছে রূপঙ্কর সান্যাল আসলে কেমন মানুষ। সে যেটা বিয়ের আগে সকলকে দেখিয়েছিল সেটা তো একদমই নয়। তবে গিনি শ্বশুরবাড়িতে এসে থেকে অত্যাচারিত হলেও মুখ খুলতে পারছেনা কারুর কাছে। কারণ রূপ আর তার মা তাকে বিভিন্ন রকম ভাবে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে।
শুধু তাই নয় মানসিক ও শারীরিক সবরকম অত্যাচার গিনির সাথে করছে রূপ। মায়ের বুদ্ধিতে গিনির স্নানের ভিডিও করে তাকে ব্ল্যাকমেল করেছে মুখ বন্ধ রাখতে। এমনকি গিনির ফোনটাও তারা ভেঙে দিয়েছে যাতে গিনি বাড়িতে যোগাযোগ করতে না পারে। সে এখন খাঁচার বন্দি পাখিতে পরিণত হয়েছে।
তবে ধীরে ধীরে গিনির ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। সে চাইছে সকলকে সুযোগ বুঝে রূপের সত্যিটা বলে দিতে। আর তাই সেইমতোই রূপ যখন ভয়ঙ্কর ভাবে গিনিকে মারধর করে আর সবটা বলে দেয় যে তার বিয়ে থেকে মেঘের বদনাম সবটাই ময়ূরীর প্ল্যান ছিল নীলকে কাছে পাওয়ার জন্য তখন গিনি চেষ্টা করে এই খবর মেঘকে দিতে।
কিন্তু তার সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। কাজের লোকের ফোন থেকে একটা ফোন করতে চাইলে সে ভয়ে মানা করতে থাকে। আর সেই সময়েই সেখানে হাজির হয় শালিনী অর্থাৎ রূপের মা। সে আবারও গিনির থেকে ফোন কেড়ে নেয়। নিজের ফোন থেকে প্রয়োজনে বাড়িতে ফোন করতে বলে। তবে গিনি এই সবকিছুর প্রতিবাদ করলে তাকে ঠাসিয়ে একটা চড় মেরে দেন শালিনীও।