ঘরের শত্রু যে কতটা খতরনাক হতে পারে তা জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল'(Icche Putul) ধারাবাহিক দেখলেই লক্ষ্য করা যাবে। যারা ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা জেনে থাকবেন মেঘের দিদি ময়ূরী। এই ময়ূরী নিজের বোনের প্রতি কতটা হিংস্র তা ধারাবাহিকের প্রত্যেকটা পর্বে দেখা যাচ্ছে। আবার সে নতুন করে হিংস্র রূপ ধারণ করছে।
মেঘের ভালো ময়ূরী সহ্য করতে পারেনা। মেঘ আবার নতুন করে ঘর বাঁধতে চলেছে। তা শুনেই ময়ূরী জ্বলে যায়। এবার সে নতুন উপায় বার করতে রূপকে ফোন করে। রূপ ময়ূরীকে প্ল্যান দেয়, মেঘকে শেষ করে দেওয়ার। রূপ একটা বন্দুক দেবে বলে ঠিক করে, যে বন্দুকে গুলির কোনো আওয়াজ হবে না। আর বিয়ে বাড়ির ভিড়ে কেউ বুঝতে পারবেনা মেঘকে কে মেরেছে।
এই কথা শুনে ময়ূরী প্রথমে অবাক হয়। সে এই কাজ না করার কথা ভাবে। কিন্তু পরক্ষণেই রূপকে আবার ফোন করে , সে ব্যস্ত হয়ে ওঠে বন্দুকটা নেওয়ার জন্য। রূপ বারবার ময়ূরীকে বলে, এই কাজ সে করতে পারবে কিনা ভালো করে যেন ভেবে নেয়। এটা কিন্তু রূপ ময়ূরীর ভালোর জন্য বলেনি, সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বলছে।
আরও পড়ুনঃ প্রতীক্ষার মুখে ঝামা ঘষে পুতুলের পাশে তীর্থ, ফাঁস ধুন্ধুমার পর্ব
এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে। ময়ূরী যদি রূপের শত্রু মেঘকে মেরে দেয়, তাহলে রূপেরও লাভ। রূপকে আর হাত গন্ধ করতে হচ্ছে না, ময়ূরীকেই জেলে যেতে হবে। ময়ূরীকে এমন কথা বলে ময়ূরী রাজি হয়ে যায় মেঘকে মারার জন্য। এরপরে রূপ জানিয়ে দেয়, কীভাবে সব কাজ করতে হবে।
রূপের কথা শুনে সেই কাজ করবে বলে ঠিক করে ময়ূরী। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি মেঘের মৃত্যু দিয়েই শেষ হয়ে যাবে ইচ্ছে পুতুল? এ বিষয়ে তো কিছুই জানা যাচ্ছে না, তবে ধারাবাহিকের গতিবিধি দেখে তো মনে হচ্ছে মেঘের মৃত্যু দিয়েই শেষ হবে ইচ্ছে পুতুল? নাকি ময়ূরী ধরা পরে এবার জেলে যাবে?