Icche Putul : দর্শকদের কাছে বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তালিকায় এখন যোগ হয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’। শুরু থেকে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও এখন সিরিয়ালটিকে টিআরপি তালিকায় সেরা দশে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক, গল্প অনুযায়ী ময়ূরী আর রূপের মুখোশ খুলে গেছে সকলের কাছে। সৌরনীলের মা নিজের মানুষ চেনার ক্ষমতা নিয়ে ভীষণ অহংকারী হয়ে উঠেছিলেন। তার সব অহংকার এক লহমায় চূর্ন হয়েছে।
রূপ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর ময়ূরীর আসল উদ্দেশ্যটাও এখন মীনাক্ষীর কাছে স্পষ্ট। তিনি এতদিন জেক বিশ্বাস করে সমানে প্রশ্রয় দিয়ে গেছেন তার স্বরূপ প্রকাশ পেতেই এক থাপ্পড়ে তাকে পর করে দিয়েছেন। কিন্তু দোষ কি শুধুই ময়ূরীর ছিল? মেঘ অন্তত তা মনে করেনা। ময়ূরী ভীষণ ভাবে স্বার্থপর। মেঘ নিজেও তার দিদিভাইকে সাবধান করেছে বারবার।
কিন্তু সৌরনীল আর তার বাড়ির লোক অন্ধের মত বিশ্বাস করে গেছে তাকে। সত্যিটা সামনে দেখতে পেয়েও ময়ূরীর কথায় সেটাকে মিথ্যে ভেবে নিয়েছে। ময়ূরীর খারাপ কাজ করার প্রবণতাকে বারংবার প্রশ্রয় দিয়েছে তারা। তাই সবটা জানতে পেরে মেঘকে ফিরিয়ে আনতে গাঙ্গুলি বাড়ি বদ্ধপরিকর। মীনাক্ষী নিজে মেঘকে ফোন করে প্রথমে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন।
কিন্তু এইখানেই শেষ নয়। তিনি এখন ময়ূরীর স্বরূপ জেনে তাকে একতরফা দোষী বানাতে চান। মেঘ তা মেনে নেয়না। মেঘ স্পষ্ট মীনাক্ষীকে বলে ‘আপনি এটা কখনই বলতে পারেননা যে সব দোষ দিদিভাইয়ের। সে স্বার্থপর, কিন্তু এত অন্যায় তাকে করতে বাধ্য করেছে নীল। শুরুটা নীল করেছিল।’
ময়ূরীকে একতরফা দোষী না করে মেঘের দিদির প্রতি এই ভালোবাসা আবারও দর্শকের নজর কেড়েছে। মেঘ চরিত্রটা একদিকে ভীষণ আত্মসন্মানী, জেদি, আর স্পষ্টবাদী একটা মেয়ে। তার এই চরিত্রে দর্শক বারেবারে মুগ্ধ হয়েছেন। দর্শক চাননা কোনোভাবে মেঘের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটুক। এবার শেষমেষ নীল আর মেঘের ডিভোর্সটা হয় কিনা সেটাই দেখার।