Icche Putul : বর্তমান সময়ে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’। প্রথম থেকেই ধারাবাহিকটি জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু সেভাবে টিআরপি দিতে পারেনি, কিন্তু বর্তমানে বেশ টিআরপি দিচ্ছে। এর কারণ হল ধারাবাহিকের চমকদার কাহিনী। এই চমকদার কাহিনীর জন্যই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে। এতদিন মেঘকে নিয়ে সবাই খেলত।
এবার পাশা উল্টে গেছে, এখন মেঘের পালা। আর তাই তো মেঘ সবাইকে দিল উচিত শিক্ষা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সবাই নিজের ভুল বুঝতে পেরে মেঘকে কাছে টানছে। কিন্তু এখন কেন মেঘ যাবে? এটাই মেঘের দাবি। এতদিন তাকে কেউ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আজ যখন মেঘ নিজেকে প্রমাণ করেছে। তখন সবাই তাকে চাইছে।
এই বিচার সে কিছুতেই মানেনা। ডিভোর্সের দিন পরিকল্পনা করে মেঘকে বাড়ির সামনে নিয়ে যায় নীল। ডিভোর্সের কাগজপত্র বাড়িতে ফেলে এসেছে , সেটা আনতে যাবে বলে মেঘকে গাড়িতে অপেক্ষা করতে বলে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। ঠিক সেই সময় উপস্থিত হয় গিনি। গিনি নিজের কাছে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সে ফিরিয়ে আনবেই মেঘকে। আর তাই মেঘকে বাড়ির কাছে নিয়ে এসে গিনি বলে বাড়িতে আসতে।
মেঘ যেতে চায়না। গিনি মেঘকে বলে তুমি আমার জন্য যা করেছ, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য ভিতরে যেতে বলে। মেঘ জানায়, তার জায়গায় যদি অন্য কেউ থাকত, তাহলে তার পাশেও সে দাঁড়াত। তাই কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনো দরকার নেই। গিনিকে অনুরোধ করে মেঘ, ‘প্লিজ ওই বাড়িতে আমাকে ঢুকতে বোলোনা।
‘ওই বাড়িতে আমার যে অপমানটা হয়েছে, তা আমি কিছুতেই ভুলতে পারবনা।’ শুধু গিনি নয়, নীলের বাবাও মেঘকে ডাকতে আসে। নীলের বাবার কথায় মেঘ ভিতরে ঢুকতে রাজি হয়। মেঘ বাড়িতে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখে বরণ ডালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মীনাক্ষী।
মীনাক্ষী যখন বরণ করতে যায়, তখন মীনাক্ষীর থালাটা হাত দিয়ে সরিয়ে দেয় মেঘ। তারপর নিজেই ভিতরে প্রবেশ করে নীলকে বলে, ‘নীল তোমরা সবাই মিলে দরজার সামনে যে নাটকটা করলে, পারলে আমিও করতে পারতাম। কিন্তু আমি করিনি আমার রুচিতে বাঁধে। তুমি আবারও আমার সাথে মিথ্যাচার করলে, আবারও আমাকে ঠকালে। শুধুমাত্র নিজের উদ্দেশ্যে সাধন করতে।’