মেঘ চাইলেও আর সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে চায়না নীল, এটাই তবে শেষ পরিণতি তাদের সম্পর্কের!

Icche Putul : ডিভোর্সই কি তবে শেষ পরিণতি মেঘ-নীলের সম্পর্কের

Saranna

icche putul serial megh and neel slowly going far from each other

জি বাংলার (Zee Bangla) প্রত্যেকটা ধারাবাহিক আলাদা। প্রত্যেক সিরিয়ালের আলাদা আলাদা কাহিনী রয়েছে। একটা আলাদা বার্তা থাকে কাহিনীতে। আর সেরকমই আলাদা কাহিনী যুক্ত ভিন্ন ধারার একটি ধারাবাহিক হল ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। ধারাবাহিকটি দুই বোনের কাহিনী নিয়ে তৈরী হয়েছে। এর মধ্যে নেই কোনো পরকীয়া। তবে রয়েছে ত্রিকোণ প্রেমের একটা সমীকরণ। 

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, নীল আর মেঘের ডিভোর্সটা হয়নি, তাদের ডিভোর্স স্থগিত রয়েছে। দুজনের বয়ান শুনে বিচারক তাদের ৬ মাস একসাথে থাকতে বলে। এরপরে যদি তাদের মনে হয়, তারা একসাথে থাকতে পারবে না, তাহলে তাদের ডিভোর্স হবে। বিচারকের মতামত তারা মানেনি। তারা আলাদা ভাবে দিনজাপন করছে।

icche putul serial megh and neel slowly going far each other

একে অপরের কথা মনে করে কষ্ট পাচ্ছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা একসাথে নেই। দেখতে দেখতে কেটেও গেছে ৬ মাস। এবার দরজায় কড়া নাড়ছে ডিভোর্স। তাদের এই বিরহ দেখে দর্শকরাও সহ্য করতে পারছেন না। তারা বলছেন আবার দুজনে মিলে যাক। আর সেই পরিস্থিতিটা কবে আসে সেটাই এখন দেখার। অন্যদিকে মধুমিতা মেঘকে বোঝায়, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে তোদের দুজনের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ বিয়ে দিয়েই হবে সমস্যার সমাধান! মা’কে বাঁচাতে শ্যামলীকে বিয়ে অনিকেতের, রইল প্রোমো

তোরা জীবনটাকে নিয়ে ভাবিস না। সবটা খেলার ছলে দেখিস। আমি আর বাপি সারাটা জীবন থাকব না। তুই সারাটা জীবন কি করে থাকবি? কি করে কাটাবি?’ মেঘ  বলে আমি গান নিয়ে থাকব, গানটাই আমার শেষপর্যন্ত সঙ্গী হবে। এরপরই মধুমিতা বলেন, ‘দিনের শেষে যখন বাড়ি ফিরবি তখন কেউই থাকবে না দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। ক্লান্ত লাগলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ারও লোক থাকবে না।

icche putul serial neel convaince megh

কথা বলতে ইচ্ছা করলেও চারপাশে কেউ থাকবে না। খুব কষ্ট পাবি মা’। এই সব কথা শুনে মেঘ কষ্ট পেতে থাকে। এরপর দেখা যায় নীল মেঘকে ফোন করে, মেঘ ফোনটা তোলেনা। কারণ সে মনে মনে ভাবে নীল ডিভোর্সের কথা মনে করাতে ফোন করছে। মেঘ চায়না এই ডিভোর্সটা হোক। তারপর ফোনটা কেটে যায়। মেঘ দ্বিতীয় বার ফোনের আশায় থাকে। ওদিকে নীল ভাবতে থাকে মেঘ ফোন করবে। অবশেষে নীল ফোন করে মেঘকে।

আরও পড়ুনঃ নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরে আবার পর্দায় ফিরছেন ‘বাহামনি’! বেজায় খুশি দর্শক

ভীষণ রকম রাগ-অভিমান খুনসুটি দিয়ে তাদের কথোপকথন শুরু হয়। এরপরে মেঘ বলে, তুমি কি আমাকে ডিভোর্সের তারিখটা মনে করাতে ফোন করলে? নীল জানায়, সেই জন্য সে ফোন করেনি। এরপরে দুজনেই কষ্টে অভিমানে ফোন রেখে দেয়। পরশু তাদের ডিভোর্সের ফাইনাল ডেট। এই দিনের জন্য সকলেই অপেক্ষায় রয়েছে। তাহলে কি উপন্যাসের মতো  সব শেষ হয়ে যাবে, নাকি ছোটোগল্পের মতো শেষ হয়েও হইল না শেষ হবে।

× close ad