Icche Putul : জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ ধারাবাহিকে চলছে ধুন্ধুমার মহাপর্ব। সবার কথা অগ্রাহ্য করলে যে ঠিক কি হয় তা হারে হারেই টের পাচ্ছে গিনি। এখন তার কাউকে বলারও সাহস নেই। কারণ প্রথমে তো তাকে অনেকেই মানা করেছিল সে শোনেনি। এবার বুঝুক ঠেলা। রূপ যেভাবে পাশবিক অত্যাচার করছে তা সহ্য করা যায়না। রূপের সাথী হয়েছিল তার মা। কিন্তু সেই মাও আজ পাল্টি খাচ্ছে।
বর্তমান কাহিনী অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, রূপ একজন দুশ্চরিত্র। ঘরে স্ত্রী রেখে বাইরে অন্য মহিলার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। নতুন একটা প্রেমিকাও জুটিয়েছে। সেই প্রেমিকাও তার স্বার্থের। শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য সেই প্রেমিকাকে রেখেছে। এই সব কিছু জানতে পারে গিনি। আর এ নিয়েই তাদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল অশান্তি।
গিনি রূপকে বলে তার প্রেমিকার কাছে গিয়ে সব মুখোশ খুলে দেবে। এই কথা শুনে ভীষণ রেগে যায় রূপ। আর তার ফলেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। প্রথমে গিনিকে মারধর করে। তারপর তার হাত-মুখ বেঁধে একটা ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পরের দিন যখন রূপের মা শালিনী ঘরে ঢোকে, তখন দেখে গিনি কোনো নড়াচড়া করছেনা। এতেই ভয় পেয়ে যায় শালিনী।
তারপর রূপের অনেক ডাকাডাকির পর গিনির জ্ঞান ফেরে। গিনি জল খেতে চায়, রূপ তাও দেয়না। শালিনী বারবার রূপকে বলে তার জন্য জল আনতে সে কিছুতেই আনেনা। ছেলের এই আচরণ দেখে শালিনী এই প্রথম বৌমার প্রতি করুণ হন। বারবার তাকে বারণ করে এরকম অত্যাচার না করে।
তারপর শালিনী বলে, রূপের জন্য সবার কাছে তিনি ছোটো হচ্ছেন। এক্ষুনি যদি গিনির কিছু হয়ে যায়, এই বয়সে তিনি হাতকড়া পড়ে হাজতে বাস করতে চাননা। এর পাশাপাশি জানিয়ে দেয়, আর নীচে নামতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, রূপের বাবা যদি জানে শালিনী এই কাজে যুক্ত তাহলে ছেলের সাথে সাথে শালিনীকেও বার করে দেবে। তাই রীতিমতো ভয় পেয়ে রয়েছে শালিনী। এবার কি শালিনী নিজের পিঠ বাঁচাতে গিনির পাশে থাকবে? এর উত্তর দেবে আগামী পর্ব।