জি বাংলার (Zee Bangla) বেশ জনপ্রিয় সিরিয়াল হয়ে উঠেছে ‘ইচ্ছে পুতুল’। এতদিন একভাবে মেঘকে ভুল বুঝে গেছে সৌরনীল। শুধু তাই নয় মেঘকে সন্দেহ করতেও সে দ্বিধা বোধ করেনি। কিন্তু সত্যি সামনে আসতেই আবার মাফ চাইতে ছুটে গেছে তার কাছে। তবে বারবার এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ক্লান্ত মেঘ।
সে কিছুতেই ক্ষমা করতে চায়না সৌরনীলকে। নিজের দিদির প্রতিহিংসার থেকেও বেশি স্বামীর সন্দেহ আহত করেছে মেঘকে। তাই বারবার নীল ও তার পরিবারের ক্ষমা চাওয়াকে উপেক্ষা করতে চাইছে মেঘ। তবে মুখ ফেরাতে চাইলেই কি বিপদে দূরে থাকা যায়। মেঘ যে সৌরনীলকে সত্যি ভালোবাসে তার প্রমান তো বহুবার পাওয়া গেছে।
তাই ময়ূরী যখন নীলকে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। তখন মনের অনেক দোলাচলের পর মেঘ আর বসে থাকতে পারেনা। সে নীলকে বাঁচাতে থানায় ছুটে যায়। আর নীলকে নির্দোষ প্রমান করে। ময়ূরীও যে সবটা সত্যি বলছেন সেটা পরিষ্কার করে দেয় পুলিশের সামনে। আরও একবার মেঘের কাছে হেরে যায় ময়ূরী। তবে এবার সে ডেসপারেট হয়ে উঠেছে। সে মেঘের ক্ষতি করবেই। তা যেকোনো উপায়ে হোক।
শুধু তাই নয় ময়ূরী নীলকেও হাসিল করে ছাড়বে। মা-বাবা প্রত্যেকের বোঝানো এক একটা কথা তার কাছে এখন নাটক ঠেকছে। সে মনে ধরেই রেখেছে তার বাবা তাকে কখনও ভালোবাসেনি আর বাসবেওনা। অপরদিকে, তার মা ময়ূরীর এই সমস্ত অন্যায়কে আর প্রশ্রয় দিতে চাননা। তিনি ময়ূরীকে অনুরোধ করেন সব কিছু থেকে সরে আসতে। কিন্তু ময়ূরী আবার এক ভুল ধারণা পুষছে যে তার মাও তাকে কোনোদিন ভালোবাসেনি।
তাই তার সঙ্গ ছেড়ে দিতে চাইছে। নিজের মাকে কড়া কথা শোনায় ময়ূরী। এদিকে, মেঘের ইউনিভার্সিটিতে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। আর এর পর নীল মেঘের দেখা পাবেনা। তাই নিজের শেষ সুযোগকে কাজে লাগাতে সে প্রথমে ইউনিভার্সিটির প্রিন্সিপালকে দিয়ে মেঘকে নীলের কাছে ফেরার অনুরোধ জানায়। তারপর নিজে জোর করে মেঘের সাথে কথা বলতে তার পথ আটকায়। এবার দেখার মেঘ কি গলবে?