স্টার জলসায় (Star Jalsha) এখন জমজমাট সিরিয়াল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa)। প্রতিটি পর্বে একটার পর একটা ধামাকা। এতদিন সূর্য-দীপা যখন দূরে দূরে ছিল তারা বারবার একে অপরের সামনে চলে আসছিল কিন্তু সেই ভুলবোঝাবুঝি পাঁচিল হয়ে তাদের সম্পর্কের মাঝখানে দাঁড়িয়েই আছে। তাদের ভুল বোঝাবুঝির জেরে আজ তাদের দুই মেয়ে নিজেদের বোন সম্পর্কে অবগত নয়।
বাবা ও মা আশেপাশে থাকতেও একজন বাবা ছাড়া আর একজন মা ছাড়া মানুষ হচ্ছে। তবে গল্পের মোড় ঘুরেছে। আর বর্তমানে কোর্টের আদেশে সূর্য আর দীপা আগামী ছয় মাসের জন্য একসাথেই থাকবে। তারা থাকতে বাধ্য। তাই ইচ্ছা না থাকা সত্বেও তারা এখন একসাথে। তবে সূর্য-দীপাকে একসাথে দেখে মিশকা কিছুতেই সহ্য করতে পারছেনা।
তাই সে দীপাকে মারার ষড়যন্ত্র করে। তবে দীপাকে বাঁচিয়ে নেয় সূর্য। আর সূর্যর পায়েই আঘাত লাগে। সব কিছুর যেমন ভালো খারাপ থাকে, তেমনই এই ঘটনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। মিশকা সূর্যর কাছ থেকে দীপাকে সরাতে যে ষড়যন্ত্র করেছিল তার উল্টোটাই হল। সূর্যর আঘাত লাগার কারণে সে এখন হাসপাতালে যাবেনা।
বাড়িতে থেকেই রেস্ট করবে। অর্থাৎ সূর্য আর দীপা আরও কিছুটা সময় একসাথেই থাকবে। এরই মাঝে দীপার পাড়ায় এক বিয়েবাড়ি হচ্ছে। যেখানে দীপা দায়িত্ব নিয়ে সব সাজিয়ে দিয়েছে। তবে সেখানে এক গন্ডগোলের আঁচ পেতেই ছুটে যায় সূর্য-দীপা দুইজনেই। সেখানে যে মেয়েটির বিয়ে হচ্ছে সে মেয়েটি কালো। আর তাই পাত্রপক্ষ বেশি টাকার দাবি করেছে।
পনের টাকা ছাড়া তারা বিয়ে দিতে দেবেনা। আর এই গোলযোগের কথা জানতে পেরেই তারা ছুটে গিয়েছিল। আর সেখানে গিয়ে প্রথমে তাদের ভালোভাবে বোঝায় যে এটা কতবড় অপরাধ। আর না বুঝলে সূর্য তাদের উত্তম মধ্যম ধোলাই দেয়। আর সবশেষে পুলিশে খবর দেওয়ার কথা বললে তারা সুরসুর করে নিজেদের কথার সুর পাল্টে নেয়। যদিও পাত্র নিজে এই বিয়েটা করতেই চেয়েছিল। তার বাড়ির লোকেরাই বদমাইশি করছিল।