কিছুদিন আগেই জি বাংলার ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকটি ধর্ষক মহলে বেশ চর্চায় ছিল। এমনিতেও এই ধারাবাহিক নিয়ে শুরু থেকেই নানানরকম চর্চা, সমালোচনা হয়ে আসছে। কারণ গল্পের প্লট খুবই চোখে লাগার মত। মেঘ আর ময়ূরী দুই আপন মায়ের পেটের বোন। কিন্তু ময়ূরী কিছুতেই তার বোন মেঘকে সহ্য করতে পারেনা। তবে এর জন্য দায়ী কেবল ময়ূরী নয়, তাদের মাও।
মেঘ আর ময়ূরীর মা ময়ূরীকে অন্ধের মত বিশ্বাস করলেও মেঘকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেননা। ভালোবাসেনা, সহ্য করতে পারেনা। তবে তাদের বাবার ক্ষেত্রে আবার দুই মেয়ের প্রতি ব্যবহার ঠিক উল্টোটা। বিয়ের আসরে সৌরনীল ময়ূরীকে ছেড়ে মেঘকে বিয়ে করতে চাওয়ায় ময়ূরী নিজে থেকে সরে যাওয়ার নাটক করে মেঘ আর সৌরনীলের বিয়েটা তো হতে দেয়।
কিন্তু সে বিয়ের পরেও মেঘের পিছু ছাড়েনি তাকে সবরকম ভাবে সকলের কাছে অপদস্ত করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। প্রথম প্রথম মেঘ সব জেনে বুঝেও চুপ করে থাকত তবে শেষবার সে পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ময়ূরীও দমবার পাত্রী নয়, সে ঠিক আবার নিজের মত করে একটা পথ খুঁজে নিয়েছে মেঘকে অপদস্ত করার। সম্প্রতি, কিছুদিন আগেই ধারাবাহিকের একটা প্রোমো সামনে এসেছিল। যাতে দেখা গেছে অভিনেতা ফাহিম এই ধারাবাহিকে এক অন্যরকম চরিত্রে এন্ট্রি নিচ্ছেন।
এবার তাকে ঘিরেই নতুন বিপদ ঘনাচ্ছে মেঘের জীবনে। এই ধারাবাহিকে অভিনেতা ফাহিমের চরিত্রটির নাম হয়েছে রূপঙ্কর। যাকে গিনি পছন্দ করে। অন্যদিকে এই রূপঙ্কর খুবই খারাপ একটি ছেলে, যে মেঘকে অনেক আগে থেকে পছন্দ করত আর এই কথাটা ময়ূরীও জানে। রূপঙ্করের সাথে গিনির সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মেঘ তাকে সাবধান করতে চাইলে উল্টে গিনি তাকে চরম অপমান করে।
অন্যদিকে, মেঘকে অপদস্ত করার নেশায় সব জেনেশুনেও ময়ূরী গিনিকে জানায় যে, মেঘ রূপকে খুব পছন্দ করত, কিন্তু রূপ কখনও ওকে পাত্তা দেয়নি আর তাই নাকি সে গিনিকে খারাপ কথা বলেছে রূপঙ্কর সম্পর্কে। এই কথা শুনে গিনি মেঘকে চার্জ করে, যে সে জেনে ফেলেছে মেঘের রূপঙ্করকে পছন্দ না করার কারণ। সাথে এটাও বলে যে, তুমি যে রূপকে পছন্দ করতে তা কি দাদাভাই জানে? এই কথোপকথন শুনে ফেলে সৌরনীল। তবে আবার সে মেঘকে ভুল বোঝে কিনা সেটাই দেখার।