স্টার জলসার (Star Jalsha) বর্তমান একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল হয়ে উঠেছে ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ (Komola o Sreeman Prithviraj)। টিআরপি তালিকায় বিশেষ ফলাফল চোখে না পড়লেও দর্শকের জন্য এটি একটি অন্য ধারার সিরিয়াল। সেই সময়ের নিয়ম-নীতি, সংস্কার-কুসংস্কার সবটা নিখুঁত করে তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকে। তবে গল্পের উর্দ্ধে ধারাবাহিকে কয়েকটি চরিত্রকে যেভাবে গড়ে তোলা হয়েছে তা দর্শকের নজর কেড়ে নেয় বারেবারে।
কমলা ও মানিকের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব, এছাড়াও শ্বশুরের সাথে কমলার বাবা মেয়ের এক মিষ্টি সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। কমলাকে তার বাবা খুব ভালোবাসতেন। তিনি মেয়ের কোনো অভাব রাখেননি কখনও। মেয়েকে লেখাপড়া থেকে শুরু করে গান-বাজনা সবেতেই তিনি পারদর্শী করে তুলেছেন।
তবে কমলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেশিরভাগই প্রাচীনপন্থী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। বলা ভালো কু-সংস্কারাচ্ছন্ন। আর তাই তো কমলা লেখাপড়া, গান-বাজনা করতে পারে শুনে তাকে একপ্রকার হেনস্থার মুখে ফেলে। তাকে গোবর দিয়ে প্রায়শ্চিত্ৰ করতে বলা হয়। তবে মানিক এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে সে সকলকে জানায় তার বউকে হেনস্থা করলে সে কাউকে ছেড়ে কথা বলবেনা।
এরই মাঝে মানিকদের বাড়িতে এক গুনীনকে আনা হয়। তবে সে একেবারে পাকা চোর। সম্প্রতি, এই সিরিয়ালের একটি প্রোমো প্রকাশ হয়েছিল যাতে দেখা গিয়েছিল যে গুণীন অনেক্ষন ঘরের দরজা বন্ধ করে কি যেন করছে। আর সকলে বাইরে অপেক্ষা করছে। এরপর যখন গুণীন বেরিয়ে চলে যেতে যায় তখন কমলা দেখে তার সব গয়নার হাওয়া।
পৃথ্বীরাজ বুঝতে পারে কে চুরি করেছে? সে সবার সামনেই গুনীনকে পাকড়াও করে আর দেখতে চায় তার হাঁড়িতে কি আছে? গুণীন দেখাতে না চাইলেও কমলা আড়াল থেকে গুলতি দিয়ে হাঁড়ি ফাটাতেই সব গয়না বেরিয়ে আসে। কমলার হেনস্থার জন্য তার শ্বশুর সকলের হয়ে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। আর বলে তিনি কমলাকে একদিন উকিল বানিয়ে তুলবেন।