জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। ধারাবাহিকের শুরুর প্রথম প্রোমোতেই শোনা গিয়েছিল, তেতোটুকু পার করলেই পাওয়া যাবে মিঠের হদিস। আর এই ট্যাগলাইনটি বর্তমান এপিসোড গুলোতে কার্যকর হচ্ছে বলে মনে করছেন দর্শকরা। এই ধারাবাহিকের যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই এই ধারাবাহিকটিকে বেশ উপভোগ করেন।
ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে, একটা একান্নবর্তী পরিবার। প্রত্যেকটি পরিবারে যেমন থাকে সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান। ঠিক তেমনটাই তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকে। শাশুড়ির সাথে বৌমার টক ঝাল সম্পর্ক এখানে দেখানো হয়েছে। বয়োজ্যেষ্ঠরা যে একটু সেকেলে ধরনের হয়, সেটাও ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে মিশিয়ে সমাজের একটা বাস্তবিক দিক তুলে ধরা হয়েছে।
এই ধারাবাহিকের বয়োজ্যেষ্ঠ সেকেলে মানুষ হলেন জেঠু (Jethu)। সবসময় মেয়েদের দমিয়ে রাখে। শুধু মেয়েদের নয়, বাড়ির সবাইকেই শাসন করে দমিয়ে রাখে। কড়া ধাঁচের লোক। সবসময় মুখে লেগেই রয়েছে কটু কথা। ছেলে চয়ন বেকার হওয়ায় তাকে অনেক কথা শুনিয়েছেন। এখন চয়ন চাকরি পেয়ে যাওয়ায় তাঁর আর আনন্দের সীমা থাকেনা। চয়ন চাকরি পেতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাস্তায় লোক জড়ো করে যে আনন্দ করছেন। এই পর্ব দেখে অনুরাগীরা জেঠুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
তাই এক অনুরাগী ওই পর্বের ছবি কোলাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘তেতো টুকু পার করলেই মিঠের হদিস। ও মিঠে নিম ফুলের মধু। আজকে এই সিন টা আবারও প্রমাণ করে দিলো। জানি যে জেঠু (Jethu) পরে আবার ধ্যাস্টামো শুরু করবে কিন্তু ছেলের সাফল্যে জেঠুর আনন্দ এর সীমা নেই। জেঠু এটাও প্রমান করলো যে সবসময় যে ছেলে কে ভালোবাসতে হবে তবেই সে সাফল্য পাবে তা নয়। মাঝে মাঝে একটু কড়া হতে হয়।’
এই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই জেঠুর প্রশংসা করে বলেছেন, ‘এই সিনটায় কান্না পেয়েছিল। কারণ বাবার ভালোবাসা অন্যরকম। বাবারা মুখে বলেন না।’ আর একজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ অভিনয় করছেন “জেঠু” (Jethu)…. “ধ্যাষ্টামো” শুধু নয়…..প্রতিটি ডায়লগ অত্যন্ত সাবলীল, সহজ, স্বাভাবিক ভাবেই বলে যাচ্ছেন। আমার তো মনে হচ্ছে সিরিয়ালের একটি অন্যতম প্রধান চরিত্র এই “জেঠু”।