স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল মেয়েবেলা (Meyebela)। ধারাবাহিকটি কাহিনীর জন্য জনপ্রিয় হলেও, ধারাবাহিকের নায়ক ডোডোদার জন্য সকলেই এই ধারাবাহিকটি অধীর আগ্রহী সহকারে দেখেন। তাঁর হাঁটাচলা, কথাবার্তা সবটাই কার্যত মুখস্থ অনুরাগীদের। তাই এই চরিত্রটি বেশ প্রশংসিত দর্শকদের কাছে। আর তাই আবারও দর্শকদের প্রশংসায় প্রশংসিত হয়ে উঠে এল খবরের শিরোনামে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে টানটান উত্তেজনাময় পর্ব। আর তাই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা একটাও এপিসোড মিস করছেননা। অধীর আগ্রহী হয়ে টেলিভিশনের পর্দায় বসে রয়েছেন দর্শকরা। আসলে মৌ আর ডোডোর সম্পর্ক আগে যা ছিল, তার থেকে অনেকটাই বদলেছে সম্পর্কের সমীকরণ। সব সম্পর্কে বিশ্বাস অবিশ্বাস থাকেই। আর মৌ ডোডোর সম্পর্কেও তা লক্ষ্য করা গেল।
মৌয়ের মেসো প্রথম থেকেই মৌয়ের ক্ষতি চেয়ে এসেছে এবারেও তার অন্যথা হলনা। প্রপার্টি পেপারে চালাকি করে মৌকে সাইন করিয়ে নিয়েছে । এখন জানা যাচ্ছে, নীচের তলাটা মৌ নিজের থেকেই নিজের নামে করে নিয়েছে। আর এই কথা শোনার পর মৌ সহ বাড়ির প্রত্যেকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। মৌ এর সেম্মা, সেজকা, টিকলি, টিটো, পিপি কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না মৌ এমনটা করতে পারে বলে।
মৌ আর এই বাড়িতে থাকবে না বলে ঠিক করেছে। ডোডো চুপ করে থাকলেও, সে মনে মনে ভাবে মৌ একাজ করতে পারেনা। মৌয়ের জন্যই আমি জেলে যায়নি। মৌ লেবারের প্রাণ বাঁচিয়েছিল। তার জন্য আমি মৌয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। মৌয়ের এই বাক্যালাপ দেখে অনুরাগীরা আপ্লুত। এক অনুরাগী তাই লিখেছেন, ডোডো কিন্তু একসাথে পুরো সত্যি টা বের করতে চেয়েছে, এমনকি দোষটা নিজের ঘাড়ে নিয়েছে।
মৌ এর বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার কথা শুনে ওর যে কষ্ট হয়েছে সেটা ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। এছাড়া সেম্মা, সেজকা, টিকলি, টিটো, পিপি সকলে মৌ কে বিশ্বাস করেছে এটা দেখে মন ভরে গেছে। বম্মা, গুঞ্জা, আম্মা, সুরজিৎ এরা তো এক একটা গিরগিটি। কিন্তু ডোডো দা মন জিতে নিয়েছে। ওর মনে মৌ যে অনেকটা জায়গা অধিকার করে নিয়েছে অলরেডি সেটা দেখে শান্তি পেলাম।’