জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। এই ধারাবাহিকটির বেশ চর্চায় থাকে সর্বদা। ধারাবাহিকের গল্প অনেকের কাছেই পুরোনো জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ইচ্ছে নদী’র গল্প বলে মনে হয়। এই ধারাবাহিকে একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প দেখানো হয়েছে। তিনটি চরিত্র মেঘ, ময়ূরী আর সৌরনীল। মেঘ ও ময়ূরী দুই বোন। তবে মেঘ বেঁচে আছে ময়ূরীর জন্য।
ময়ূরীকে বাঁচিয়ে রাখতেই একপ্রকার তার জন্ম। আর ময়ূরী ক্রমাগত মেঘকে নিজের পায়ের তলায় দমিয়ে রাখতে চায়। বিয়ের পিঁড়ি অবধি পৌঁছেও যখন শেষপর্যন্ত সৌরনীল মেঘকেই বিয়ে করল ময়ূরীর হিংসা প্রতিহিংসায় পরিণত হল। সে অন্যান্য ভিলেনদের মত সামনে নয় আড়ালে মেঘকে সকলের চোখে খারাপ প্রমান করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
কখনও পরীক্ষার হলে মেঘকে চিটার প্রমান করে আবার কখনওবা মেঘ যাতে গান গাইতে না পারে তাই তাকে জোর করে আইসক্রিম খাইয়ে দিয়ে তার গলা খারাপ করে দেয়। আর প্রত্যেকবার সবাই মেঘকে আগে দোষারোপ করে আর পরে জানতে পারে সেখানে মেঘের দোষ ছিলোনা। এবারেও ঠিক এমনটাই দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকে।
সম্প্রতি, সৌরনীল আর মেঘের বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল যা ময়ূরী জানতে পারে। আর সে তাদের যেতে দেবেনা বলে খুব চালাকি করে মেঘের ব্যাগ থেকে তার পাসপোর্ট সরিয়ে দেয়। ময়ূরী বুঝতে পারেনি মেঘ এতবড় স্টেপ নেবে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে। সকলে মাইল যখন মেঘকে দুষতে ব্যস্ত তখন মেঘ নেয় পুলিশের সাহায্য।
পালিশ সকলের আঙুলের ছাপ নেয় আর তা টেস্ট করতে দেয়। প্রমান সহ সকলের সামনেই হাটে হাঁড়ি ভেঙে যায় ময়ূরীর। পালিশ স্পষ্ট জানায় পাসপোর্টে ময়ূরীর হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। তবে ময়ূরী অস্বীকার করতে থাকে। তারপর মেঘকেও ও পরিবারের বাকি সকলকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে। তবে মেঘ যে নির্দোষ তা সৌরনীলের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে পুলিশি কমপ্লেইন মেঘ তুলে নেবে বলে। অর্থাৎ এবারেও ময়ূরীকে আরেকটা সুযোগ দিয়ে দেয় মেঘ।