এক ছাদের তলায় না থাকলেও খাতায়-কলমে জীতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাস (Nabanita Das) কিন্তু স্বামী-স্ত্রী। গত জুন মাসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নবনীতা প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাদের বিচ্ছেদের কথা। ডিভোর্সের মামলা চলছে সেপ্টেম্বরে সেই মামলায় শিলমোহর পড়বে। নবনীতা সম্পর্ক নিয়ে তিক্ততার কথা বললেও, জীতু কখনোই সরাসরি সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি। বরং তাকে আগলে রাখার কথা বলেছেন।
সত্যিই কি জীতু আজীবন আগলে রাখবে? বিচ্ছেদ কি হবে না? কেনই বা নবনীতার মতো তিনিও প্রকাশ্যে কিছু জানালেন না? অনেক প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে। আদালতে তাদের দুজনের সম্পর্ক গেলেও মনে-প্রাণে এখনও জীতু নবনীতাকে সম্মান দেন। নবনীতা বিচ্ছেদের কথা বললেও আজ পর্যন্ত জীতু বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ তোলেননি। কারণ নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাপার কখনোই জনসমক্ষে আনতে চাননা।
কী সমস্যা কার সমস্যা সে নিয়েও তিনি কোনোদিন কিছু বলবেন না। তাঁর কথায়, ‘ আমার স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা জানিয়ে ভুল করেছেন। আমি পরিণত হয়ে ওর মতো একই ভুল করতে পারি না। এখন নবনীতা ভুলটা বুঝতে পারে, ওর সাথে কথাও হয়।’ যখনই বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ সোশ্যাল মিডিয়ায় এল, তখনই বিচ্ছেদের জন্য দায়ী করা হয়েছিল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে।
এ প্রসঙ্গে জীতু জানান, ‘একটা ছবির জন্য শ্রাবন্তীর নাম জড়িয়ে গেল আমার সাথে। যাঁরা অকারণে এমনটা দাবি করলেন তাদের এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’। এর পাশাপাশি জানালেন দুজনের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ, ‘আমার সাথে নবনীতার আজীবন বন্ধুত্ব থাকবে। হয়তো একই পরিবারের অংশ হয়ে নবনীতার দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে পারব না।
আরও পড়ুনঃ ডিভোর্সের পরপরই বিয়ের পিঁড়িতে নবনীতা! রইল পাত্রের পরিচয়
কিন্তু ওঁর যে কোনো সমস্যায় যে কোনো বিপদে আমি ওর পাশে আছি’। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে নবনীতাও নাকি অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। নবনীতা নাকি বড় ব্যবসায়ী স্নেহাল অধিকারীর সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ। দুজনকে একসাথে দেখা যায় প্রায়সই। এই সংবাদ কতটা জীতুকে স্পর্শ করে? জীতুর কথায়, ‘আমাকে এসব একদমই ভাবায় না। একজন মানুষ নিজে ঠিক করবে সে কখন কি করবে’।