চারিদিকে শুধু ভিলেন আর ভিলেন। একটা ভালো মানুষের পিছনে যদি হাজারটা ভিলেন থাকে সে কি করে বাঁচবে? তারও তো বাঁচার অবলম্বন চাই। সবসময় যদি সে খারাপ থাকে তাহলে কি করে চলবে। এরকমই একটা দুর্বিষহ ব্যাপার আসতে চলেছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) তে।
সবে শিমুল প্রতীক্ষার খপ্পর থেকে বেঁচে ফিরেছে। এর মাঝেই এসে উপস্থিত হয়েছে আরও এক ভিলেন।যারা ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা জানেনই মিথ্যা অভিযোগে শিমুলকে যেতে হয়েছে জেলে। কিন্তু শিমুল তো নির্দোষ। আর নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য শিমুলের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পক্ষ থেকে উকিল ঠিক করা হয়। পরাগদের পক্ষের উকিলদের সাথে পেড়ে উঠতে পারেনা। সে হেরে যায়।
সমস্ত প্রমাণের ভিত্তিতে শিমুলকে খালাস করে জজ সাহেব। আর আসল দোষী ধরা পড়ে। পরাগকে বিষ খাওয়ার অপরাধে জেলে যেতে হয় প্রতীক্ষাকে। প্রতীক্ষাকে ছাড়ানোর জন্য পরাগের কাছে পলাশ টাকা চায়। কিন্তু পরাগ দিতে রাজি হয়না। সে জানিয়ে দেয় তার টাকা নেই, সব টাকা উকিলের পিছনে চলে গেছে। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগায় শতদ্রুর শত্রু রূপরেখা।
আরও পড়ুনঃ ‘কার কাছে কই ন্যাকামোর কথা’, ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো দেখে নাম বদলে দিলেন ক্ষুব্ধ দর্শকেরা!
শতদ্রুর সাথে রূপরেখার বিয়ে না হওয়ায় রূপরেখাও ছিল তক্কে, কীভাবে প্রতিশোধ নেবে। আর সেই সুযোগ এসে গেছে হাতের কাছে। রূপরেখা জানতে পারে শিমুল খালাস হয়ে গেছে, কিন্তু শিমুল বিনাশকারী প্রতীক্ষা কারাগারে বন্দী। পলাশও টাকা পাচ্ছে না শিমুলকে ছাড়ানোর। এমতাবস্থায় রূপরেখা পলাশের পাশে দাঁড়ায়।
রূপরেখা ভাবে এটাই মোক্ষম সুযোগ, এটাকে হাতিয়ার করতে পারলে এক ঢিলে দুই পাখি। সোজা পলাশকে ফোন করে আর বলে প্রতীক্ষাকে ছাড়ানোর সমস্ত টাকা সে দেবে। কিন্তু হঠাৎ এত দয়ালু কেন? এর উত্তরে সে জানায়, তাদের দুজনের শত্রু এক। শিমুল আর শতদ্রু। পলাশরা যেমন চায়না তারা সুখে থাক, রূপরেখাও চায়না তারা সুখে থাক। তাই একসঙ্গে মিলে বদ্ধ পরিকল্পনা করছে। এবার দেখার নতুন কি বিপদ আসতে চলেছে।