Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’। এই ধারাবাহিক দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। একাংশ দর্শকদের মনে জায়গা করে নিলেও, কিছু দর্শকদের মনে এখনো জায়গা করে নিতে পারেনি। আর সেকারণেই ধারাবাহিক দেখে কিছু অংশের মানুষরা সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি এই ধারাবাহিক দেখে মেয়েদের বিয়ে করার ইচ্ছাই চলে যাচ্ছে।
আসলে ধারাবাহিক যখন শুরু হয়, ধারাবাহিকের প্রোমো ভিডিও বেশ সুন্দর ছিল। যা দেখে বেশ আপ্লুত হয়েছিল সবাই। কারণ ধারাবাহিকের মূলমন্ত্রই ছিল মেয়েরা মেয়েদের বন্ধু। পাঁচজন নারী একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে একে অপরের পাশে থেকে এগিয়ে যাবে। আর দেখানো হবে, এই পাঁচ নারীর পথের বাঁধাকে, যেমন লাঞ্ছনা, গঞ্জনা ইত্যাদি। কিন্তু ধারাবাহিক চলাকালীন দেখা যাচ্ছে অন্য কাহিনী।
লাঞ্ছনা গঞ্জনা তো আছেই, তার সাথে দেখা যাচ্ছে দাম্পত্য অত্যাচার, মানসিক অত্যাচার, শারীরিক নির্যাতন, আর বৈবাহিক ধর্ষণের মত সমস্ত বিষয়গুলি। যদিও শুরু পর থেকেই প্রশংসার পাশাপাশি দর্শকের রোষের মুখে পড়ে এই ধারাবাহিক আলোচনায় উঠে এসেছে। পাশাপাশি বয়কটের ডাকও উঠেছিল দর্শকমহলে। আর সেই চাপেই গল্প পাল্টেছে ধারাবাহিকের।
বেশি কিছু না, তবে শিমুল আর তার শ্বাশুড়ি মধুবালার সম্পর্কের সমীকরণ কিছুটা বদলেছে। নিজে শ্বশুরবাড়িতে পদে পদে কষ্ট পেয়েছেন বলে যে শাশুড়ি শিমুলকে শুরু থেকেই পায়ে বেড়ি দিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। মনের অজান্তেই তার সেই বেড়ি আলগা হয়েছে। তিনি শিমুলকে নিজের মেয়ের মতই দেখতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় তাকে যত্ন করে সংসারের পাঠ পড়ানোর চেষ্টাও করছেন।
কিন্তু সংসারে শাশুড়িই যে সব নয়। সে বাঁধতে চাইলেও পরাগের ব্যবহার বারবার শিমুলের মন আর শরীর দুটোই ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে। তারই প্রমান আবার পাওয়া গেল সাম্প্রতিক পর্বে। শিমুল পরাগের কাছে না শুয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ পুতুলের কাছে রাতে ঘুমাচ্ছিল। তবে পরাগের মা শিমুলকে বুঝিয়ে আরেকটা সুযোগ তার ছেলেকে দিতে বলেন। কিন্তু পরাগ শিমুলের যা অবস্থা করেছে তা দেখে চোখে জল চলে আসে মধুবালার।